না বুঝেই একটা গাছ কেটে ফেলেছিল। শুধু তাই নয়, সেই গাছ বিক্রিও করছিল সঞ্জু প্রধান নামে এক যুবক। সেই অপরাধেই তাঁকে পিটিয়ে মারল প্রায় ১৫০ জন। মেরে ফেলার পর ওই যুবকের দেহ জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের কোলেবেরিয়া থানা এলাকায়। সেখানে অধিকাংশ জনগনই মুন্ডা। স্থানীয় এক গাছ তাদের কাছে ধর্মীয় গুরুত্ব বহনকারী। সেই গাছ কাটা ও তার কাঠ বিক্রির ‘শাস্তি’ স্বরূপ ওই যুবককে মেরে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ।
গত বছর অক্টোবর মাসে ওই গাছ সে কেটেছিল বলে অভিযোগ মুন্ডাদের। তাতেই ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লাগে। মঙ্গলবার বসে বিচারসভা। সেখানেই ১০০-১৫০ জন জনতা চড়াও হয় ওই যুবকের উপর। লাঠি, বাঁশ, ইট, পাথর প্রভৃতি সব কিছু দিয়েই চলে এলোপাথাড়ি মারধর। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, মারতে মারতে সঞ্জুকে মেরেই ফেলে ওরা। তারপর মৃতদেহের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
এই ঘটনায় সিমদেগা থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে। অভিযুক্তদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। এখনও কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। প্রসঙ্গত, মাওবাদীদের সঙ্গে মৃত যুবকের যোগ সূত্র ছিল বলে আগেই তিনটি মামলা ছিল। অতীতে সে জেলও খেটেছে। গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে।