বিজেপির অন্দরের কোন্দল ক্রমশ বাড়ছে। একের পর এক বিজেপি বিধায়ক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়ছেন। এই পরিস্থিতির জন্য সুকান্ত মজুমদার ও শুভেন্দু অধিকারীকে দায়ী করা হল তৃণমূলের মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’য়। তাৎপর্যপূর্ণভাবে ব্যাপক প্রশংসা করা হয়েছে দিলীপের সাংগঠনিক ‘ক্যারিশ্মা’র।
সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, ‘ত্রিফলা সামলানো সুকান্ত মজুমদারের মতো সদ্য কৈশোরে পা দেওয়া রাজনীতিবিদের পক্ষে সম্ভব নয়। তবু দিলীপ ঘোষ থাকলে একটা কথা ছিল’। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করে লেখা হয়েছে, ‘শুভেন্দুর সমস্যা হচ্ছে শ্যাম রাখি না কুল রাখি। এলাকায় নিজের অস্তিত্ব প্রমাণ করতে গিয়ে নাকানিচোবানি খাচ্ছেন। তৃণমূলের ছত্রছায়ায় থাকার সময়ে বুঝতে পারেননি কত ধানে কত চাল! এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন’।
দিলীপের প্রশংসা করে লেখা হয়েছে, ‘সময়ের আগেই বিতাড়িত দিলীপ ঘোষ রিংয়ের বাইরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। আর এসব দেখে মুচকি হাসছেন’। শুধু তাই নয়, বিজেপির রাজ্য কমিটি থেকে বাদ পড়া তিন নেতা তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বলেও দাবি করা হয়েছে জাগো বাংলায়। উল্লেখ করা হয়েছে সম্প্রতি জয়প্রকাশ মজুমদারের বাড়িতে বিক্ষুব্ধ নেতাদের গোপন বৈঠকের বিষয়টিও। বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বকে খোঁচা দিয়ে লেখা হয়েছে, ‘দলের দুই বর্ষীয়ান নেতা জয়প্রকাশ ও প্রতাপ গোপন বৈঠক করে স্ট্র্যাটেজি সাজাচ্ছেন’।
মঙ্গলবার দিনভর বিজেপির অন্দরে যা যা ঘটেছে. তাতে দলে যে চিড় ধরেছে, তা স্পষ্ট। একদিকে দেখা গেল শান্তনু ঠাকুরকে তাঁর ঘনিষ্ঠদের নিয়ে আলাদা করে বৈঠক করতে। অন্যদিকে, জয়প্রকাশ মজুমদারের বাড়িতে রাজ্য কমিটি থেকে বাদ পড়া বিক্ষুব্ধ প্রবীণ নেতারা বৈঠক করলেন। সব মিলিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলের কোন্দল প্রকট হয়ে উঠেছে। আর সেটাই তুলে ধরা হয়েছে জাগো বাংলার সম্পাদকীয়তে।