একুশের বিধানসভা নির্বাচনের সময় পদ্ম-হাওয়া থাকলেও আসন্ন পুরভোটে দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে খাতা খোলাই চ্যালেঞ্জ বিজেপির কাছে। এমনটাই মনে করছে স্থানীয় রাজনৈতিক মহল। গঙ্গারামপুর শহরে পুরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে তৃণমূল শিবিরে শুরু হয়েছে বুথভিত্তিক দলীয় কর্মসূচী। বিধানসভা নির্বাচনের পর হাওয়া বদলেছে গঙ্গারামপুর শহরে। বিরোধী শিবিরের কর্মীরা দলে দলে নাম লিখিয়েছেন তৃণমূলে। পুরসভা নির্বাচন দোরগোড়ায় চলে এলেও বিধানসভা নির্বাচনে গেরুয়াশিবিরে সংগঠনের ভিত নড়ে যাওয়ায় বিজেপির বুথ ভিত্তিক কোনও কর্মসূচী দেখা যাচ্ছে না। গঙ্গারামপুর শহরের বুকে বিজেপি নেতৃত্বের তেমন মুখ না থাকায় শহরের ১৮টি ওয়ার্ডে কীভাবে লড়াই হবে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় বিজেপি নেতৃত্বের একাংশ।
প্রসঙ্গত, লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে গঙ্গারামপুর শহরে গেরুয়া শিবির এগিয়ে থাকলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলেছে হাওয়া। শহরের উন্নয়নের স্বার্থে যে শাসকদল তৃণমূলের পক্ষেই থাকবেন শহরবাসী, এমনটাই মনে করছে জেলার রাজনৈতিক মহল। রাজ্য বিজেপির সভাপতির জেলা বনাম রাজ্যের মন্ত্রী তথা জেলার বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতার খাসতালুকে পুরসভা দখলের লড়াই এবার অনেকটাই কঠিন গেরুয়া শিবিরের কাছে। প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে গঙ্গারামপুর পুরসভা নির্বাচনে বিরোধী শূন্য বোর্ড গঠন করে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার গঙ্গারামপুর পুরসভা নির্বাচনে বিজেপির কাছে খাতা খোলাই চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছে জেলার রাজনৈতিক মহল।
এপ্রসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র বলেন, “পুরসভা নির্বাচনে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার শুধু গঙ্গারামপুর নয়, দু’টি পুরসভাতেই আমাদের দলের সংগঠন যথেষ্ট মজবুত। এখন থেকেই আমাদের দলের কর্মীরা বুথে নেমে ঘর গোছানোর কাজ শুরু করে দিয়েছেন। বিধানসভা নির্বাচনের পর গঙ্গারামপুর শহরের বুকে বিরোধী দল থেকে দলে দলে নিচুতলার কর্মীরা যাঁরা ভোট করান, তাঁরা তৃণমূলে নাম লিখিয়েছেন। বিধানসভা নির্বাচনের পর জেলায় বিজেপির নেতৃত্ব দেবেন, তেমন কোনও নেতা নেই। পুরসভার ১৮টি ওয়ার্ডে প্রার্থীই দিতে পারবে না গেরুয়াশিবির। তাদের জমানত জব্দ হবে। এর আগেও আমার নেতৃত্বে দল গঙ্গারামপুর পুরসভা বিরোধী শূন্য হয়েছে। এবারও আমরা দেখিয়ে দেব। শহরবাসী উন্নয়নের স্বার্থেই শাসকদল তৃণমূলের পক্ষেই থাকবেন। বিগত দিনে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে ফল খারাপ হলেও দল ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বিগত দিনের হিসেব করে কোনও লাভ হবে না।”