খুব কম সময়ের ব্যবধানেই টেলিমেডিসিন পরিষেবায় দেশে তিন নম্বরে উঠে এসেছে বাংলা। অন্ধ্রপ্রদেশ ও কর্ণাটকের পরের স্থানেই আছে তারা। এইবার লক্ষ্য শীর্ষস্থান দখল। তাই টেলিমেডিসিন কলসেন্টারের চিকিৎসকের সংখ্যা ৩ গুণ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য স্বাস্থ্যদফতর। সোমবার এক বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্বাস্থ্যকর্তারা। সূত্রের খবর, এতদিন সুস্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে আসা রোগীদের সঙ্গে জেলা ও মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলির বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সংযোগের এই পরিষেবায় সাহায্য করত স্বাস্থ্যভবনের ‘স্বাস্থ্যইঙ্গিত’ কলসেন্টারের ১০ জন চিকিৎসক। এবার সেই সংখ্যা ৩ গুণ বাড়িয়ে করা হচ্ছে ৩০ জন। এই সংখ্যক চিকিৎসকের স্থায়ী পোস্টিং হতে চলেছে কলসেন্টারে। এর মধ্যে প্রায় অর্ধেক এমবিবিএস পাশ চিকিৎসক থাকবেন। বাকি অর্ধেক থাকবেন বিশেষজ্ঞ। অর্থাৎ এমডি-এমএস, ডিএম, এমসিএইচ প্রভৃতি উচ্চ ডিগ্রিধারী চিকিৎসক।
পাশাপাশি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে মাস তিন-চারেক হল চালু হয়েই বাংলায় এখন শুধুমাত্র ‘স্বাস্থ্যইঙ্গিত’ টেলিমেডিসিন পরিষেবার মাধ্যমে রোজ দূর দূর গ্রামের হাজার হাজার মানুষ ডাক্তার দেখাতে পারছেন। অনলাইন প্রেসক্রিপশনের ওষুধ মিলছে সুস্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি থেকেই। রোজ গড়ে পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ২০ হাজার মানুষ এই ব্যবস্থার মাধ্যমে উচ্চতর চিকিৎসাকেন্দ্রগুলির ডাক্তারবাবুদের নিজেদের সমস্যার কথা জানাতে পারছেন। চিকিৎসা পাচ্ছেন। উদাহরণস্বরূপ, ২০ ডিসেম্বর রাজ্যের ২১ হাজার ১০০ জন টেলিমেডিসিনে চিকিৎসা পেয়েছিলেন। ২১ ডিসেম্বর পান ২০ হাজার ২০০ জন। ২২ তারিখে ১৯ হাজার ১০০ জন এবং ২৪ তারিখে ১৯ হাজার ৮০০ জন পরিষেবা পেয়েছেন।
স্বাস্থ্যভবন সূত্রের খবর, টেলিমেডিসিনে বিভিন্ন ক্লিনিক্যাল বিষয় ছাড়াও স্ত্রীরোগ, ত্বক বিশেষজ্ঞ এবং শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। সেকারণে ৩০ জন চিকিৎসকের পুল-এ প্রাধান্য দেওয়া হতে পারে এইসব শাখার বিশেষজ্ঞদের।