ক্রমাগত কৃষক সংগঠন ও বিরোধী শিবির থেকে চাপ আসতেই কৃষি আইন নিয়ে ঢোক গিললেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর। নিজের বক্তব্য থেকে খানিক পিছিয়ে গিয়ে বললেন, কখনও বলিনি যে কৃষি আইন নতুন করে আনা হবে। তোমরের দাবি, তিনি শুধু বলতে চেয়েছেন সরকার আগামী দিনেও কৃষকদের উন্নতিতে কাজ করে যাবে। শুক্রবার মহারাষ্ট্রে এক অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী তোমরের করা মন্তব্য কেন্দ্রকে অস্বস্তিতে ফেলে দেয়। কৃষিমন্ত্রী বলেন, “আমরা কৃষি আইনে সংশোধন এনেছিলাম। স্বাধীনতার ৭০ বছর পর এটা ছিল বিরাট বড় একটা সংস্কারমূলক পদক্ষেপ। কিছু মানুষ এই আইন পছন্দ করেনি। কিন্তু সরকার তাতে হতাশ নয়। আমরা হয়তো এক পদক্ষেপ পিছিয়ে এসেছি। কিন্তু মোটেই ভেঙে পড়িনি। সময় হলে আবার সামনে পদক্ষেপ করব। কারণ কৃষকরাই আমাদের মেরুদণ্ড।” অর্থাৎ কৃষিমন্ত্রীর বক্তব্যে স্পষ্ট ইঙ্গিত ছিল, সুযোগ পেলে আগামী দিনে এই আইন ফের আনতে পারে মোদী সরকার।
প্রসঙ্গত, তোমরের এই বক্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই কটাক্ষ আসা শুরু করে বিরোধী শিবির থেকে। রাহুল গান্ধী বলে দেন, “এমন মন্তব্য করে কৃষিমন্ত্রী আসলে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমাপ্রার্থনাকেই অপমান করেছেন। এর তীব্র নিন্দা করা উচিত। আগেও ঔদ্ধত্য হার মেনেছে। আবারও হার মানবে। অন্নদাতারা আবার পথে নামবেন।” সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য তথা কৃষক নেতা হান্নান মোল্লা বলেন, “কৃষিমন্ত্রীর বক্তব্যেই স্পষ্ট যে সরকার কৃষকদের সঙ্গে দ্বিচারিত করছে। মুখে এক কথা বলছে, কাজে আরেক রকম করছে। মোদী-আরএসএসকে যারা বিশ্বাস করে তারা মূর্খের স্বর্গে বাস করছে।” অন্য বিরোধী দলগুলিও তোমরের বক্তব্য নিয়ে সরব হয়। চাপের মুখে ফের সুর বদলাতে বাধ্য হন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী। আরও দু’কদম পিছিয়ে এসে তিনি বলেন, “আমি কখনও বলিনি যে কৃষি আইন ফিরিয়ে আনা হবে। আমি শুধু বলেছিলাম, সরকার ভাল কৃষি আইন এনেছিল। কোনও কারণে সেটা প্রত্যাহার করতে হয়েছে। আগামী দিনেও আমরা কৃষকদের উন্নতির জন্য কাজ করে যাব।”