এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বার। ফের ধর্মতলা থেকে রামগঙ্গাগামী ভূতল পরিবহণের বাসে ওষুধ খাইয়ে বেহুঁশ করে এক যাত্রীর কাছ থেকে সর্বস্ব লুট করে নিয়ে পালাল দুষ্কৃতীরা। গঞ্জেরবাজার এলাকায় বাসের মধ্যে ওই যুবককে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন বাসের কন্ডাকটর।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এই নিয়ে এক মাসের মধ্যে সাতবার একই ঘটনা ঘটল ধর্মতলা থেকে রামগঙ্গাগামী ভূতল পরিবহণের বাসে। সহযাত্রীরা জানান, ধর্মতলা থেকেই সম্ভবত ওই দুষ্কৃতীরা বাসে উঠে যাত্রীদের পাশে বসে খাতির জমিয়ে যায় তারপরে খাবার খাইয়ে অজ্ঞান করে সব লুঠ করে।
ওই যুবকের নামার কথা ছিল ধ্রুববাজার। কিন্তু সেখানে নামেননি তিনি। বিষয়টা বুঝতে পেরে এরপর গঞ্জেরবাজারে দাঁড়িয়ে থাকা এক সিভিক ভলেন্টিয়ারকে সমস্ত ঘটনা জানান তিনি।
বাস থেকে নামিয়ে এনে তাঁর চোখেমুখে জল দিয়েও জ্ঞান ফেরানো যায়নি। সিভিক ভলেন্টিয়ার পাথরপ্রতিমা থানার ওসি সঞ্জয় দে’কে বিষয়টি জানান। ওসির নির্দেশে সিভিক ভলেন্টিয়াররা গদামথুরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান তাঁকে।
পকেটে থাকা মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে বাড়িতে খবর দেওয়া হয়। হাসপাতালে ছুটে আসেন অসুস্থ যুবকের মা-বাবা। জানা গেছে, বৃদ্ধ দম্পতির একমাত্র সন্তান বর্ধমান ধানের মিলে কাজ করেন। বাড়িতে গত তিনমাসে কোনও টাকা পাঠাননি।
একইসঙ্গে টাকা নিয়ে দেনা শোধ করার ইচ্ছায় আজ বাড়িতে আসছিলেন। সকালে মা বাবাকে ফোন করে জানান, ধর্মতলা থেকে ভূতলের বাসে উঠেছেন। সঙ্গে ২৫ হাজার টাকা এবং ছেলের জন্য বিভিন্ন খাবার রয়েছে। সেই টাকা লুঠ হয়ে গেলেও মা-বাবা চান তাদের সন্তান সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরুন।