হাওড়ার শিবপুরের ব্যবসায়ী সব্যসাচী মণ্ডলকে খুনের ঘটনায় জড়ালো কংগ্রেস কাউন্সিলর সন্তোষ পাঠকের নাম। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে নোটিস পাঠাল শিবপুর থানার পুলিশ। এর আগেও তাঁকে দু’বার নোটিস পাঠানো হয়।
গত অক্টোবর মাসে গ্রামের বাড়ি বর্ধমানে নৃশংস ভাবে খুব করা হয় শিবপুরের বাসিন্দা ব্যবসায়ী সব্যসাচী মণ্ডলকে। সেই ঘটনায় নাম জড়ায় মৃতের কাকা গৌরহরি মণ্ডল এবং তার দুই ছেলে সোমনাথ ও দিনবন্ধুর। জানা যায়, সম্পত্তি নিয়ে কাকা-ভাইপোর বিবাদের জেরেই খুন।
এর আগে আগস্ট মাসেও সব্যসাচী মণ্ডলকে খুনের চেষ্টা হয়। তাঁর শিবপুরে বাড়িতে পেট্রোল বোমা ছোঁড়ে দুষ্কৃতীরা। ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সন্তোষ পাঠকের নাম উঠে আসে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিবপুর থানার পুলিস আগেও দু’বার নোটিস পাঠায়। অভিযোগ, তিনি দেখা করেননি। এবার ফের নোটিস পাঠানো হয়েছে। দেখা না করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারে পুলিস। প্রয়োজনে ওয়ারেন্টও জারি করা হতে পারে।
সব্যসাচী মণ্ডল খুনের ঘটনায় সুপারি কলার জানিসার আলম ওরফে রিকিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সে খুনের কথা স্বীকারও করেছে। পরে ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করে পুলিশ। প্রথমেই কান্নায় ভেঙে পড়ে রিকি। তারপর জানায়, প্রথমেই সে ও তার সঙ্গীরা ঠাকুরদালানের কাছে এসে চাকু দেখিয়ে ড্রাইভারকে ভয় দেখায়। তাঁর মোবাইল কেড়ে নেয়। ড্রাইভার আনন্দ সাউকে বাধ্য করে সব্যসাচীকে ডেকে আনতে। এবার সব্যসাচী দোতলা থেকে নামার আগেই পজিশন নিয়ে তৈরি থাকে তারা। সব্যসাচী নীচে নামতেই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় রিকি। এরপরই পালাতে যান সব্যসাচী। পালতে গিয়ে সিঁড়ির মুখে পড়ে যান সব্যসাচী। সেইসময় রিকি আরেক রাউন্ড গুলি চালায়। তারপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে সে ও তার দলবল মিলে সব্যসাচীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে বার বার কোপায়।