নিজের সার্ভিস রিভালভার থেকে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হলেন পুলিশকর্মী। পরে উদ্ধার করে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করে। তবে কী কারণে তিনি এই কাজ করেছেন তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি।
ঘটনাটি সিঙ্গুরের নতুন বাজার এলাকার পুলিশ লাইন বিল্ডিয়ের। হুগলি জেলা গ্রামীণ পুলিশ সুপার আমন দীপ জানিয়েছেন মৃত ওই পুলিশ কর্মীর নাম দীপঙ্কর রংগিত (৪৪)। বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের কন্টাইতে।
এই ঘটনার বিষয়ে সঞ্জয় ঘোষের শ্যালক কাজল ঘোষ জানান, “বোনের বাড়িতে এসে দেখি মৃতদেহ নেই। পুলিশ বাড়ি আটকে রেখেছে। যে খুন করেছে তাঁকে এখনও ধরতে পারা যায়নি।” ঘটনাস্থান থেকে অভিযুক্ত তপন ঘোষকে আটক করে পুলিশ। আরেক অভিযুক্ত শ্রীকান্ত ঘোষ পলাতক।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত পুলিশকর্মী গতকাল রাতে ডিউটি করছিলেন। সেই সময় তিনি আচমকাই নিজের রাইফেল থেকে গুলি চালায়। হঠাৎ গুলির শব্দ শুনে ছুটে আসে অন্যন্য সহকর্মীরা। তারা হতবাক হয়ে যায় কেন এমন সিদ্ধান্ত নিল সে।
তৎক্ষণাত রক্তাক্ত পুলিশ কর্মীকে স্থানীয় সিঙ্গুর গ্ৰামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। তবে কী কারণে পুলিশকর্মী আত্ম্যহত্যা করল, তা খতিয়ে সিঙ্গুর থানার পুলিশ।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসে সিঙ্গুরে একের পর এক খুনের ঘটনা সামনে এসেছিল। একই পরিবারের তিনজনকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল। হুগলির চণ্ডীতলার নৈটি এলাকার বাসিন্দা সঞ্জয় ঘোষ।
তাঁর স্ত্রী মিতালী ঘোষ ও মেয়ে শিল্পা ঘোষ। বেশ কিছুদিন কয়েক বছর ধরেই তাঁরা ওই এলাকায় বসবাস করছিলেন। তাঁদেরই আত্মীয় শ্রীকান্ত ও তপন ঘোষ।
এই শ্রীকান্ত ও তপন ঘোষের বিরুদ্ধেই অভিযোগ উঠছে খুনের। সম্পত্তি বিবাদের জেরেই খুন হয়েছেন সঞ্জয়, মিতালী ও শিল্পা এমনটাই মনে করছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ চরম পর্যায়ে পৌঁছায়।
সেই সময় সঞ্জয় বাবুকে প্রথমে শাবল দিয়ে মাথায় আঘাত করে অভিযুক্তরা। পরে কুপিয়ে খুন করে তাকে। সেই ঘটনা দেখে স্ত্রী ও সঞ্জয়বাবুর মেয়ে পালাতে গেলে একইভাবে তাদের খুন করে অভিযুক্তরা।