পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত ইঞ্জিয়নিয়ার সমস্তিপুরের লোকো ডিজেল শেডে কাজ করেন। অভিযোগ, রেলের অন্য আধিকারিক এবং নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে যোগসাজশ করে পূর্ণিয়া কোর্ট রেল স্টেশনে পড়ে থাকা রেল ইঞ্জিন বিক্রি করে দিয়েছেন তিনি। পূর্ণিয়া কোর্ট রেলস্টেশন এই ঘটনায় একটি এফআইআর দায়ের করেছে।
অভিযোগ, ইঞ্জিনিয়র তাঁকে সমস্তিপুর ডিভিশনাল মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার (ডিএমই)-র ভুয়ো চিঠি দেখিয়ে জানান, ইঞ্জিনের যন্ত্রাংশ সমস্তিপুর লোকো শেডে নিয়ে যাওয়া হবে। কিন্তু সেই শেডে না নিয়ে গিয়ে ভাঙাচোরা হিসেবে ইঞ্জিনটিকে বিক্রি করে দেন ইঞ্জিনিয়ার। সমস্তিপুরের ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার (ডিআরএম) অলোক আগরওয়াল ঘটনা প্রসঙ্গে বলেছেন, “এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি।”
তদন্তে নেমে পূর্ণিয়ার গুলবাগ এলাকা থেকে ইঞ্জিনের একটি অংশ উদ্ধার করেছে আরপিএফ। এই ঘটনায় কোন কোন আধিকারিক এবং নিরাপত্তারক্ষী জড়িয়ে আছেন এবং এর পিছনে আরও কোনও বড় চক্র আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে আরপিএফ সূত্রে খবর।
জানা গিয়েছে, গত ১৪ ডিসেম্বর পূর্ণিয়া কোর্ট রেলস্টেশনে পৌঁছে ইঞ্জিনকে গ্যাসকাটার দিয়ে ছোট ছোট অংশে কেটে ফেলার নির্দেশ দেন অভিযুক্ত। কর্মীরা যখন কাজ করতে শুরু করেন তখন আউটপোস্টের দায়িত্বে থাকা আধিকারিক এমএম রহমান ঘটনার প্রতিবাদ জানান।