সাংসদ-ঘনিষ্ঠ হয়েও রেহাই মিলল না! অবশেষে গ্রেফতার করা হল খড়্গপুর শহর বিজেপির উত্তর মণ্ডলের সভাপতি দীপসোনা ঘোষকে। মেদিনীপুরের সাংসদ তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সম্পাদক দিলীপ ঘোষ-ঘনিষ্ঠ এই বিজেপি নেতাকে মঙ্গলবার সকালেই তাঁর সুভাষপল্লির বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, বিজেপি মণ্ডল সভাপতি দীপসোনা ঘোষের বিরুদ্ধে তাঁর দলেরই এক নেত্রীর শ্লীলতাহানি ও হত্যার চেষ্টা করার অভিযোগ রয়েছে। ওই কর্মীর অভিযোগের ভিত্তিতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
দীপসোনা ঘোষের গ্রেফতারির ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে খড়্গপুর শহরে। অভিযুক্ত যেমন সাংসদ-ঘনিষ্ঠ, তেমনই অভিযোগকারিণী খড়্গপুর শহর কেন্দ্রের বিধায়ক তথা অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিতা। ফলে পুরভোটের আগে প্রকট হয়ে উঠেছে খড়্গপুর তথা পশ্চিম মেদিনীপুর বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব।
উল্লেখ্য, গত ২ ডিসেম্বর খড়্গপুর শহরে একটি কম্বল বিতরণ কর্মসূচিকে ঘিরেই হিরণ-গোষ্ঠী বনাম দিলীপ-গোষ্ঠীর এই দ্বন্দ্বের সূত্রপাত। ওই দিন ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের কম্বল বিতরণ কর্মসূচি ছিল। অভিযোগ, সেই কর্মসূচি বাতিল করার জন্য অনুষ্ঠানের দায়িত্বে থাকা বিজেপি নেত্রীকে দীপসোনা ঘোষ ফোনে হুমকি দেন। যদিও শেষ পর্যন্ত ওই কর্মসূচি হয় এবং সেখানে উপস্থিত ছিলেন হিরণ চট্টোপাধ্যায়ও। বিজেপি নেত্রীর অভিযোগ, বিধায়ক বেরিয়ে যাওয়ার পরই দীপসোনা, কুণাল সরকার-সহ বেশ কয়েকজন দলীয় নেতা সেখানে গিয়ে তাঁদের উপর হামলা চালানো হয়। দীপসোনা তাঁর শ্লীলতাহানি করেন এবং ছুরি হাতে তাকে হত্যার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। সেই রাতেই খড়্গপুর থানায় গিয়ে দীপসোনা, কুণাল-সহ বেশ কয়েকজন দলীয় নেতার বিরুদ্ধে খড়গপুর টাউন থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। সেই অভিযোগেরই প্রায় ২০ দিন পর গ্রেফতার হল অভিযুক্ত।