সতর্ক করেছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু তাঁর হুঁশিয়ারির পরেও সংসদে বিজেপি সাংসদদের হাজিরায় তেমন উন্নতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। উল্টে সোমবার এক চরম অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়েছে বিজেপিকে। দেখা গিয়েছে, দলের যে সাংসদরা মন্ত্রীদের প্রশ্ন করেছেন, তাঁদের মধ্যে ৯ জন সভায় অনুপস্থিত। সব মিলিয়ে প্রশ্নকর্তা সাংসদ মোট ১৪ জন অনুপস্থিত ছিলেন। বিজেপির ৯ জন ছাড়া বাকি পাঁচজন ছিলেন কংগ্রেস-সহ বিভিন্ন দলের। নিয়ম হল, অনুপস্থিত থাকলে দল এবং স্পিকারের অফিসকে তা জানিয়ে রাখা। কিন্তু অনুপস্থিত সাংসদরা কেউই তা করেননি।
প্রসঙ্গত, লোকসভা-রাজ্যসভায় সাংসদদের অনুপস্থিতি নতুন নয়। কিন্তু সোমবারের ঘটনায় বিজেপির অন্দরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কারণ মোদী সতর্ক করার পরেও সাংসদদের অধিবেশনে না থাকার ফলে অনেকে মনে করছেন, এটা হল দল ও সংসদীয় দলে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের রাশ আলগা হওয়ার লক্ষণ। গত ৭ ডিসেম্বর মোদী সংসদীয় দলের বৈঠকে দলীয় সাংসদদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, আপনারা কাজ না করলে আমরা আপনাদের সরিয়ে দেব। দেখা যায়, বিজেপি ৩০৩ জন সাংসদের মধ্যে সেদিন ২৫০ জন উপস্থিত। পরদিন ৮ ডিসেম্বর হাজিরা বেড়ে হয় ২৬০। ৯ ডিসেম্বর হাজির ছিলেন মাত্র ২৬১ জন বিজেপি সাংসদ। অর্থাৎ হাজিরার তেমন উন্নতি হয়নি মোদী বলার পরেও।
লক্ষ্য করা গিয়েছে, অনেক বিজেপি সাংসদ সংসদের হাজিরা খাতায় সই করে অধিবেশন কক্ষে মুখ দেখিয়ে বেরিয়ে গিয়েছেন। যেমন, মোদীর হুঁশিয়ারির পরদিন বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার সময় অধিবেশন কক্ষে হাজির ছিলেন বিজেপির ৬০ থেকে ৭৫ জন সাংসদ। অথচ ততক্ষণে সংসদের হাজিরা খাতায় দু’শোর বেশি সংসদের সই ছিল। অনেকেই খাতায় সই করে অধিবেশন কক্ষে মুখ দেখিয়ে বেরিয়ে গিয়েছেন। বিজেপি সাংসদদের অনেকে অবশ্য বলছেন, প্রধানমন্ত্রী নিজেই সংসদে দিনের পর দিন আসেন না। তাঁর দর্শন পাওয়া দুষ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি সংসদে এলে তাঁর কাছে দলীয় সাংসদরা ঘরোয়া আলোচনায় অনেক বিষয়ে কথা বলার সুযোগ পান। তাই একমাত্র তিনি ঘনঘন সংসদে এলেই দলীয় সাংসদদের হাজিরা বাড়বে।