বুধবারই বাংলায় হদিশ মিলেছে ওমিক্রন আক্রান্তের। যা স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যবাসীর আতঙ্ক কয়েকগুণ বাড়িয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে বুধবার ওমিক্রণ নিয়ে রাজ্যবাসীকে সতর্ক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, “ওমিক্রণ খুব বেশি ভয়ংকর নয়। তবে আপনারা সকলে সতর্ক থাকুন।” আগামী রবিবার, অর্থাৎ ১৯শে ডিসেম্বর কলকাতা পুরসভার ভোট। তার আগে বুধবার ফুলবাগানে নির্বাচনী সভা করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই মুর্শিবাদের ওমিক্রন আক্রান্ত শিশুর প্রসঙ্গে আলোচনা করেন তিনি। বলেন, “এবার ওমিক্রন শুরু হয়েছে। আবু ধাবি থেকে একজন হায়দ্রাবাদ হয়ে কলকাতা এসেছে। একজন রোগী বিমানে থাকলে বাকি প্যাসেঞ্জাররা তাঁর সংস্পর্শে আসছে। তারপর তারা বাড়ি ফিরে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মিশছে। ওমিক্রন মারাত্মক কিছু না। কিন্তু এটা ছোঁয়াচে বেশি। খুব বেশি ছড়িয়ে পড়ে। তবে আমরা কোভিড মোকাবিলা করেছি। ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু সবকিছু মোকাবিলা করেছি। শুধু এটাই বলব, আপনারা সতর্ক থাকুন।”
প্রসঙ্গত, আজই হদিশ মিলেছে রাজ্যের প্রথম ওমিক্রন আক্রান্তের। আবু ধাবি থেকে বিমানে ১০ তারিখ মধ্যরাতে হায়দ্রাবাদে নেমেছিল শিশুটির পরিবার। সেখানে আরটি পিসিআর পরীক্ষার জন্য শিশুটির লালারস সংগ্রহ করা হয়। বিদেশ থেকে আসায় জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হয় লালারস। এদিকে আরটি পিসিআরের ফলাফলে জানা যায়, শিশুটি কোভিড পজিটিভ। আজ, বুধবার জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের রিপোর্টে জানা গিয়েছে শিশুটি ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত। করোনা আক্রান্ত অবস্থায় হায়দ্রাবাদ থেকে ১১ই ডিসেম্বর কলকাতায় ফেরে শিশুটি। সেখান থেকে বাড়ির গাড়ি করে মালদহে যায় তারা। আর প্রশ্ন উঠেছে এখানেই। একজন কোভিড পজিটিভ রোগী কী করে নিয়ম ভেঙে হায়দ্রাবাদ থেকে বিমানে ওঠে? রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, “কোনও কোভিড পজিটিভ রোগী বিমানে উঠতে পারে না। কিন্তু কী করে এমন ঘটনা ঘটল, তা স্পষ্ট নয়। তাই সমস্ত বিষয়টি লিখিত আকারে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রককে জানানো হচ্ছে।”