আরেকবার সেরার মুকুট উঠল কলকাতার ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিসটিক্যাল ইনস্টিটিউটের মাথায়। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এক অধ্যাপক নীনা গুপ্তা পেলেন ‘রামানুজন প্রাইজ ফর ইয়ং ম্যাথেমেটিশিয়ানস্’। তিনিই চতুর্থ ভারতীয়, যাঁকে এই পুরস্কার প্রদান করা হল। বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলির মধ্যে থেকে এই পুরস্কারের জন্য নীনার নাম চূড়ান্ত করা হয়। অ্যালজাব্রাইক জিওমেট্রি এবং কম্যুটেটিভ অ্যালজাব্রা নিয়ে তাঁর কাজের জন্য এই পুরস্কার অর্জন করেন তিনি। যে চারজন ভারতীয় এই পুরস্কার জিতেছেন, তার মধ্যে তিনজনই এই উক্ত প্রতিষ্ঠানের অধ্যাপক।
প্রসঙ্গত, যে সকল গণিতবিদদের বয়স ৪৫ বছরের কম, কিন্তু তাঁরা গণিতে নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছেন, এমন গণিতবিদদের এই পুরস্কার প্রদান করা হয়ে থাকে। মোট তিনটি সংস্থা মিলে এই পুরস্কার প্রদান করে থাকে। এর মধ্যে রয়েছে আবদুস সালাম ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর থিওরিটিক্যাল ফিজিক্স, ভারত সরকারের ডিপার্টমেন্ট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি এবং ইন্টারন্যাশনাল ম্যাথেমেটিকাল ইউনিয়ন।
তামাম বিশ্বের প্রথমসারির গণিতবিদদের নিয়ে তৈরি এই পুরস্কারের বিচারকমণ্ডলী। অঙ্কে নীনার কাজ দেখে প্রশংসায় পঞ্চমুখ তাঁরা। এর আগে, ২০১৯ সালে তাঁর কাজের জন্য শান্তিস্বরূপ ভাটনগর পুরস্কারেও সম্মানিত হন তিনি। এছাড়াও, আরও বেশ কিছু পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। এর মধ্যে রয়েছে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল সায়েন্স অ্যাকাডেমির ‘ইয়ং সায়েন্টিস্ট’ পুরস্কার।
উল্লেখ্য, বরানগরের ডানলপ অঞ্চলের খালসা হাই স্কুল থেকে পড়াশোনা করেছেন নীনা। এরপর কলকাতার বেথুন কলেজ থেকে অঙ্কে স্নাতক হন তিনি। এরপর আইএসআই থেকেই মাস্টার্স ও পিএইচডি অর্জন করেন তিনি। এরপর আইএসআই-তেই অধ্যাপনার কাজে নিযুক্ত হন নীনা। তবে, এত সাফল্যের পরও আক্ষেপ থেকে গিয়েছে তাঁর মনে। অঙ্কের সবচেয়ে সম্মানীয় পুরস্কার ফিল্ডস মেডেল অধরাই থেকে গেছে তাঁর। ৩৭ বছর পেরিয়ে যাওয়ার ফলে আর এই পুরস্কার পাবেন না তিনি। তবে তিনি আশাবাদী যে তাঁর জীবনকালেই, কোনও ভারতীয়র হাতে উঠবে এই সম্মান।