উন্নয়নের নিরিখে কতটা এগিয়েছে তিলোত্তমা? উত্তর দিলেন বাংলার অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি জয় গোস্বামী। তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’য় এক উত্তর সম্পাদকীয়তে তিনি দাবি করলেন, “কলকাতা অচিরেই ব্যাধিমুক্ত হবে।” অর্থাৎ দ্রুতই আরোগ্যের পথে চলেছে মহানগরী। সেই সঙ্গে তিনি জানালেন, গত এক দশকের তৃণমূল জমানায় রুগ্ন শহরটা নিরন্তর সেবাযত্নে অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠেছে। গতিময়তার সঙ্গে এসেছে স্বাচ্ছন্দ্য ও উপশম। বর্ষীয়ান কবির স্পষ্ট দাবি, কলকাতা পুরসভায় তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকার অর্থই নিরবিচ্ছিন্ন অগ্রগতি। উল্লেখ্য, সামনেই কলকাতার পুর নির্বাচন। তার ঠিক আগেই জয় গোস্বামীর মতো এই শহরের এক বিশিষ্ট নাগরিক মনে করিয়ে দিলেন, ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই কীভাবে এই শহরে ধীরে ধীরে বেড়েছে নাগরিক স্বাচ্ছন্দ্যে। উঁচু ইমারতের সঙ্গে সবুজের সমারোহ রয়েছেই। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে রাস্তাঘাটে যানবাহন চলাচলের গতিময়তা। আর সে জন্য কলকাতার পুরপ্রশাসনকে কৃতিত্ব দিচ্ছেন জয়।
পাশাপাশি, বর্ষার মরসুমে এখনও শহরের কোনও কোনও অঞ্চলের জলমগ্ন হয়ে পড়ার প্রসঙ্গ তুলেছেন তিনি। সেই সঙ্গে তাঁর প্রত্যাশা, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচালনায় ফিরহাদ হাকিমের মহানাগরিকত্বে এই অসুখেরও শুশ্রূষা চলেছে এবং আমি নিশ্চিত তা সেরেও যাবে।” সেই সঙ্গে সদ্যপ্রয়াত শহরের প্রাক্তন মেয়র সুব্রত মুখোপাধ্যায় সম্পর্কে স্মৃতিচারণাও করেছেন জয়। পাশাপাশি পুর প্রশাসনের সাংস্কৃতিক মননের অবাধ বিস্তারেও পুর প্রশাসন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বলে তাঁর মত ব্যক্ত করেছেন তিনি। এছাড়াও তাঁর লেখায় মমতা সরকারের স্বাস্থ্যসাথী, কন্যাশ্রী প্রকল্পগুলির প্রশংসাও করেছেন জয়। বর্তমান প্রশাসনের প্রশস্তির পাশাপাশি বাম সরকারের দীর্ঘ শাসনকালের সমালোচনাও করেন কবি। পরিষ্কার লিখেছেন, “৩৪ বছর ধরে ক্ষমতায় ছিল পূর্বতন সরকার। সমাজের সর্বস্তরে নিজেদের ক্ষমতা কায়েম করার নেশায় বুঁদ হয়ে দম্ভ আর আত্মতুষ্টির ফাঁদে পড়ে স্তাবকদের আনুগত্যকে সঠিক ভেবে নিয়ে ভুয়ো ভালতে গা ভাসিয়েছিলেন। তাতে যা হওয়ার তাই হয়েছিল। জনগণ তাঁদের প্রত্যাখ্যান করেছেন।”