শহরবাসীকে সেই জলযন্ত্রণা থেকে বাঁচাতে আসন্ন পুর ভোটের আগে নিকাশির উপর বিশেষ জোর দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিল তৃণমূল। এদিন ঘাসফুল শিবিরের তরফে প্রকাশ করা হয় পুরভোটের ইস্তেহার। সেই সময়ই নিকাশি, পানীয় জলের মতো বিষয়ের উপর বিশেষ জোর দেওয়ার কথা বলেছেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী।
স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিষেবার উন্নতি থেকে শুরু করে মহিলা নিরাপত্তায় নজর – এসব দিকেই জোর দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের ইস্তেহারে। তবে তার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য – কলকাতা পুরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে মহিলাদের জন্য শৌচালয়। নারীদের দৈনন্দিন সুবিধার কথা মাথায় রেখে এই ঘোষণা করা হল। পরিচ্ছন্ন শৌচালয়ে থাকলে কলকাতার পথেঘাটে মহিলাদের চলাচলে আরও সুবিধা হবে। এই প্রতিশ্রুতি নিঃসন্দেহে নাগরিক পরিষেবা উন্নয়নে এক বড় পদক্ষেপ। শনিবার দুপুরে মহারাষ্ট্র নিবাস থেকে দলীয় ইস্তেহার প্রকাশ করলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। বাংলা ছাড়াও হিন্দি, উর্দু ও ইংরাজি ভাষায় প্রকাশ করা হয়েছে ইস্তেহারটি।
এছাড়া কলকাতা শহরের জল জমার সমস্যাকে মাথায় রেখে নাগরিকদের সুবিধায় তা দ্রুত সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে ইস্তেহারে। ফের পুরসভায় তৃণমূল ক্ষমতায় এলে আরও ২০০ টি পাম্প বসানো হবে শহরে।
এদিন ইস্তেহার প্রকাশের অনুষ্ঠানে কলকাতা পুরসভার ১৪৪ টি ওয়ার্ডের প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের আরও একবার ভোটের লড়াইয়ে নামার আগে ভোকাল টনিক দিয়েছেন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, ‘১৪৪ টি ওয়ার্ডেই আমরা জিতব। কোথায় কোথায় আমাদের দুর্বলতা রয়েছে, কোথায় কাজ বাকি, সেদিকে আরও বেশি করে নজর দিতে হবে। যাঁরা নির্বাচিত হবেন, তাঁরা মনে রাখবেন, যেন সারাবছর এলাকায় আপনাদের দেখা যায়’। সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আত্মতুষ্টি নয়, সকলে একত্রিত হয়ে নির্বাচনী লড়াইয়ে নামুন’। আগামী ১৯ তারিখ কলকাতায় পুরভোট, ২১ তারিখ ফলপ্রকাশ। আর তারপরই বিজয় উৎসব পালন করবে তৃণমূল।