একাধিক হিন্দু সংগঠন দাবি করছে ওই সব স্থাপত্য আদতে হিন্দু দেবদেবীদের মন্দির ভেঙে গড়া হয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছে ইউনেস্কোর হেরিটেজ সাইট তকমা পাওয়া কুতুব মিনার। দিল্লীর কুতুব মিনার চত্বরে পুজো করতে চেয়ে আদালতে আবেদন করেছিলেন বিষ্ণু এস জৈন নামে এক আইনজীবী। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
এ নিয়ে আদালতে মামলাও চলছে। নতুন করে নিশানায় কুতুব মিনার। ঐতিহাসিক এই ইঁটের স্তম্ভটি ভারতের অন্যতম সাংস্কৃতিক পরিচিতির পতাকা বাহক। ৭২.৫ মিটার উঁচু মিনারটি পৃথিবীর সবথেকে লম্বা ইঁটের তৈরি স্তম্ভ।
আইনজীবীটি দাবি করেছিলেন, কুতুব মিনার চত্বরে আগে হিন্দু এবং জৈনদের ২৭টি মন্দির ছিল। এর মধ্যে জৈন তীর্থঙ্কর ঋষভ দেবের উপাসনা গৃহ থেকে শুরু করে বিষ্ণু, শিব, গণেশ, হনুমান ইত্যাদি দেবদেবীর মন্দির ছিল। আবেদনে সেসব মন্দ্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিও জানানো হয়। কিন্তু সে দাবিতে আমল দেয়নি শীর্ষ আদালত। বিচারপতি নেহা শর্মা বলেন, ‘ভারতের সাংস্কৃতিক ইতিহাস অত্যন্ত সমৃদ্ধ।
বিভিন্ন যুগে বিভিন্ন সাম্রাজ্যের শাসন চলেছে এখানে। অতীতে বেশ কিছু অন্যায় এবং ভুল হয়েছে তা হয়তো ঠিক। কিন্তু সেই ভুলের ওপর ভিত্তি করে বর্তমান এবং ভবিষ্যতের শান্তিতে বিঘ্ন ঘটানো যায় না।’ প্রসঙ্গত, রামমন্দির নির্মাণে সবুজ সঙ্কেত পাওয়ার পর কাশী-মথুরায় শ্রীকৃষ্ণের জন্মস্থানেও মন্দির গড়ার দাবি জানিয়েছে হিন্দু সংগঠনগুলি।