শেষকৃত্য সম্পন্ন হল দেশের প্রথম সর্বাধিনায়ক বিপিন রাওয়াতের। দিল্লী ক্যান্টনমেন্টের ব্রার স্কোয়্যারে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া পূর্ণ হল তাঁর। একই চিতায় পাশাপাশি শোয়ানো হল জেনারেল বিপিন ও তাঁর স্ত্রী মধুলিকাকে। ১৭ তোপধ্বনির মাধ্যমে জানানো হল শেষ শ্রদ্ধা। তামিলনাড়ু থেকে বৃহস্পতিবার রাতে প্রয়াত সর্বাধিনায়ক ও তাঁর স্ত্রী মধুলিকা রাওয়াতের মরদেহ দিল্লী পৌঁছয়। শুক্রবার সকাল থেকে তাঁদের মরদেহ শায়িত ছিল তাঁদের বাসভবনে। একে একে শ্রদ্ধা জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী-সহ বিশিষ্টজনেরা। শ্রদ্ধা জানান তৃণমূল সাংসদরাও।
মা-বাবাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান দুই মেয়ে কৃতিকা এবং তারিণী। মায়ের কোলে চেপে দাদু রাওয়াতের মরদেহে ফুল দেয় ছোট্ট নাতিও। এরপর তাঁর বাসভবন থেকে ব্রার স্কোয়্যারের উদ্দেশে বের হয় শববাহী গাড়ি। ভিড় করেন বহু মানুষ। শেষযাত্রায় স্লোগান ওঠে ‘যব তক সুরজ চাঁদ রহেগা, বিপিন জি কা নাম রহেগা।’ শেষকৃত্য সম্পন্ন করার আগে ১৭ গান স্যালুটের মধ্য দিয়ে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শ্রদ্ধা জানানো হয় তাঁকে। শেষ শ্রদ্ধায় শামিল ছিলেন ৮০০ সেনা। গত বুধবার তামিলনাড়ুর কুন্নুরে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় সিডিএস জেনারেল বিপিন রাওয়াত, তাঁর স্ত্রী-সহ মোট ১৩ জনের। দুর্ঘটনায় বর্তমানে জীবিত মাত্র একজন, বরুণ সিংহ। আপাতত মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি। এদিন সকালে রাওয়াতের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার লখবিন্দর সিংহ লিড্ডার পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষবিদায় নেন। আর শুক্রবার বিকেলে চিরপ্রস্থান ঘটল দেশের বীর সন্তানের। তাঁর অকাল প্রয়াণে বিরাট শূন্যস্থান তৈরি হল দেশের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে।