একুশের ভোটযুদ্ধে বিজেপিকে রুখে দিয়ে বাংলায় তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। আর তারপরেই আগামী লোকসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে শুরু হয়েছে অন্যান্য রাজ্যে সংগঠন বিস্তার করে দলকে সর্বভারতীয় স্তরে মেলে ধরার চেষ্টা। আর তা করতে গিয়েই এবার ফের মেঘালয় কংগ্রেসকে ফের ধাক্কা দিল ঘাসফুল শিবির। কংগ্রেসের ১২ জন বিধায়ক আগেই যোগদান করেছিলেন তৃণমূলে। এবার উত্তর গারো উপজাতীয় পরিষদের ১১ জন কংগ্রেস সদস্যও তৃণমূলে যোগ দিলেন। ফলে মেঘালয়ে আরও শক্তিবাড়াল তৃণমূল। একইসঙ্গে কংগ্রেস প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হল উত্তর-পূর্ব ভারতের মেঘালয়ে।
মেঘালয়ের উত্তর গারো পার্বত্য জেলার একটি উপজাতি পরিষদের ১১ জন সদস্য তৃণমূলে যোগদান করায় কংগ্রেস প্রতিনিধিত্ব শূন্য হল। উত্তর গারো পার্বত্য পরিষদের কংগ্রেসকে সরিয়ে প্রধান বিরোধী দলের তকমা পেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস। ৩০ সদস্যের গারো হিলস স্বায়ত্তশাসিত জেলা পরিষদে কংগ্রেস মুছে গেল। কোনও প্রতিনিধি থাকল না তাদের আর। মেঘালয় তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘আমাদের জন্য এটি খুব বিশেষ দিন। যেহেতু ১১ জন কংগ্রেস পরিষদীয় সদস্য আমাদের পরিবারের সঙ্গে যোগদান করেছেন। উত্তর গারো পাহাড়ের রেসুবেলাপাড়ায় তাঁরা যোগদান করে৷ আমরা প্রত্যেককে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই!’