শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিনই আলোচনা ছাড়াই লোকসভা ও রাজ্যসভায় পাশ হয়ে গিয়েছিল কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল। বিনা আলোচনাতেই বিল পাশ নিয়ে সমালোচনায় সরব হয়েছে বিরোধী দলগুলি। এরই মধ্যে আজ, বুধবার লোকসভায় পেশ হতে পারে সিবিআই ও ইডির অধিকর্তাদের মেয়াদ বৃদ্ধির বিল। আজ কেন্দ্রের এই বিল পেশ করাকে ঘিরে ফের বিরোধিতায় সরব হওয়ার পরিকল্পনা করছে বিরোধীরা।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং কেন্দ্রীয় নজরদারি কমিশন (সংশোধনী) বিল ২০২১ এবং দিল্লী স্পেশাল পুলিশ এস্টাবলিশমেন্ট (সংশোধনী) বিল ২০২১ নামক যে দুটি বিল পেশ করেছিলেন, তা নিয়ে আজ আলোচনা হতে পারে বলেই জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, কেন্দ্র আলোচনা করতে চাইলেও বিরোধীরা যদি বিনা কারণে বিরোধিতা করে বা বিক্ষোভ শুরু করে, তবে আজই ধ্বনি ভোটের মাধ্যমে এই বিল পাশ করিয়ে নেওয়া হবে। তবে এদিনের অধিবেশনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু থাকবে সিবিআই ও ইডির অধিকর্তাদের মেয়াদ দুই বছর থেকে বাড়িয়ে পাঁচ বছর করার বিল।
গত মাসেই কেন্দ্রের তরফে একটি অর্ডিন্যান্স জারি করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অধিকর্তাদের কার্যকালের মেয়াদ দুই বছর থেকে বাড়িয়ে পাঁচ বছর করা হয়। কেন্দ্রের এই ঘোষণার পরই বিরোধিতা করেছিল কংগ্রেস, তৃণমূলের মতো বিরোধী দলগুলি। কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিং সূর্যেওয়ালা সুপ্রিম কোর্টেও এই বিলকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেছেন। বিরোধীদের দাবি, এই নতুন নিয়মের ফলে কেন্দ্রের হাতেই নিয়ন্ত্রিত হবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি, তদন্তে কোনও নিরপেক্ষতা বজায় থাকবে না।
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ২৪ জন বিরোধী দলের সাংসদ এই বিলের বিরোধিতা করে স্থগিতাদেশের প্রস্তাব দিয়েছেন। তবে লোকসভায় বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ায়, বিরোধীদের বিরোধিতা সত্ত্বেও এই বিলগুলি পাশ হয়ে যেতে পারে। বিনা আলোচনাতেই বিল পাশ হয়ে যাওযার সম্ভাবনায় বিরোধীরা আজ লোকসভায় বিক্ষোভ, এমনকি ওয়াকআউট করতে পারে বলে সূত্রের খবর। অন্যদিকে, রাজ্যসভাতেও আজ অধিবেশন ব্যহত হতে পারে বিরোধীদের বিক্ষোভে। কারণ ১২ জন সাংসদকে বরখাস্ত করার প্রতিবাদে আজ রাজ্যসভার ১২০ জন সাংসদ ধর্নায় বসবেন বলেই জানা গিয়েছে।