নাগাল্যান্ডে ১৪ গ্রামবাসীর মৃত্যুতে উত্তপ্ত গোটা দেশ। সেই আঁচ ছড়িয়েছে সংসদেও। সোমবার লোকসভা অধিবেশনের শুরুতেই কংগ্রেস-সহ একাধিক বিরোধীদল ইতিমধ্যেই মুলতুবি প্রস্তাব দিয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতির দাবি করেছেন তাঁরা। দাবি মেনে সোমবার বিকেলে সংসদের দুই কক্ষে নাগাল্যান্ড গুলি কাণ্ড বিবৃতি দেবেন অমিত শাহ।
সোমবার শুরু থেকেই নাগাল্যান্ড ইস্যুতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে নিয়ে সংসদ। কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, প্রথম থেকেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর বিবৃতি দেওয়া উচিত ছিল। নাগাল্যান্ডে কেন নিরপরাধ মানুষের মৃত্যু হল, তা নিয়ে এখনই সরকারের তরফ থেকে বিবৃতি দেওয়া উচিত। তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ও সরকারের বিবৃতির দাবি জানান। এ বিষয়ে অধ্যক্ষ ওম বিড়লা আশ্বস্ত করেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী লিখিত ভাবে জানিয়েছেন সোমবারই বিবৃতি দেবেন। দুপুর ১২ টা পর্যন্ত মুলতুবি হয়ে গিয়েছে রাজ্যসভা।
এই ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক বলে উল্লেখ করেছেন নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী নেফিয়ু রিও। গতকালই তদন্তের নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। টুইটে তিনি লেখেন, ‘একটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনায় মন জেলার ওটিং-এ গ্রামবাসীদের মৃত্যু হয়েছে। অত্যন্ত নিন্দাজনক ঘটনা। মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। সিট গঠন করে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত করা হবে, আইন মেনে বিচার হবে। প্রত্যেকের কাছে শান্তিরক্ষার আবেদন জানাচ্ছি।’ এরপরই সিট গঠন করা হয়েছে।
শনিবার রাতে সন্ত্রাসদমন অভিযান চলাকালীন নাগাল্যান্ডের ওটিং গ্রামে নিরীহ গ্রামবাসীদের উপর গুলিচালনার ঘটনা নিয়ে গোটা দেশ উত্তাল। সেনার প্যারা স্পেশ্যাল ফোর্সের গুলিতে অন্তত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ইতিমধ্যেই সমালোচনায় বিদ্ধ প্যারা কমান্ডোরা। তারা ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করলেও সমালোচনা থামছে না। কীভাবে সেনার গুলিতে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বদলে নিরীহ গ্রামবাসীদের মৃত্যু হল, এই প্রশ্ন এড়ানো যাচ্ছে না কিছুতেই। এই ঘটনা যে সংসদেও ঢেউ তুলবে, তা স্বাভাবিক। রবিবার সকালে ঘটনার খবর পেয়ে গভীর সমবেদনা জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এবার সংসদে তিনি কী বলেন, সেদিকে তাকিয়ে সবমহল।