একুশের ভোটে তিনি জেতার পর থেকেই খড়গপুরে বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল চরমে পৌঁছেছে। দিলীপ ঘোষ এবং খড়গপুরের বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের সম্পর্ক যে মোটেও মধুর নয়, সে বিষয়টি জানেন প্রায় সকলেই। কোনও দলীয় অনুষ্ঠানেই দেথা যায় না তারকা বিধায়ককে। শুধু তাই নয় দিলীপ ঘোষের উপস্থিতিতে নিজের বিধানসভা এলাকাতেও দেখা যায় না হিরণকে। আবার তারকা বিধায়কের করা কর্মসূচীতেও দিলীপ ঘোষকে অংশ নিতে দেখা যায় না। এবার সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেরই বহিঃপ্রকাশ ঘটল। বচসা, হাতাহাতিতে জড়ালেন হিরণ এবং দিলীপের অনুগামীরা।
বৃহস্পতিবার বিকেলে খড়গপুরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের সুভাষপল্লি গেটে হিরণের কম্বল বিতরণ কর্মসূচী ছিল। সে কারণে সকাল থেকেই প্রস্তুতিতে ব্যস্ত ছিলেন তাঁর অনুগামীরা। সব কাজ ঠিকঠাক হচ্ছে কিনা, সে বিষয়ে নজর রাখছিলেন তৃষা চাকলাদার নামে এক বিজেপি নেত্রী। আচমকাই সকালে তাঁর কাছে একটি ফোন আসে। বিজেপি নেত্রীর দাবি, খড়গপুর শহর বিজেপির উত্তর মণ্ডল সভাপতি দীপসোনা ঘোষ তাঁকে ফোন করেন। অভিযোগ, কম্বল বিতরণ কর্মসূচীতে বাধা দেন দীপসোনা। অনুষ্ঠান করা যাবে না বলেই জানান তিনি। জোর করে অনুষ্ঠান করলে ফল ভাল হবে না বলেও বিজেপি নেতা হুমকি দেন বলেই অভিযোগ তৃষার। তবে বাধানিষেধে কান দেননি কেউই। গতকাল বিকেলে কম্বল বিতরণ কর্মসূচী হয়। তাতে উপস্থিত ছিলেন হিরণও।
তবে হিরণ থাকাকালীন সব ঠিকঠাকই থাকলেও তিনি বেরিয়ে যাওয়ার পরই শুরু হয় গণ্ডগোল। অভিযোগ, দীপসোনা তাঁর দলবল নিয়ে সেখানে যায়। বিজেপি নেত্রী তৃষা, তাঁর দাদা কুন্তল চাকলাদার, অঙ্কিত শর্মা, অভিজিৎ ভুঁইয়ার ওপর হামলা চালানো হয়। দীপসোনা রীতিমতো চপার হাতে হামলা চালায় বলেই অভিযোগ। দু’পক্ষের কথা কাটাকাটি হয়। তবে কিছুক্ষণের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এদিকে রাতে পুলিশের দ্বারস্থ হন তৃষা। দীপসোনা-সহ বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে খড়গপুর টাউন থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। বিজেপি নেত্রীর দাবি, দীপসোনা বেশ কয়েকবার কুপ্রস্তাব দিয়েছেন তাঁকে। তবে তাতে রাজি না হওয়ায় বৃহস্পতিবার হামলা চালিয়েছেন তিনি। স্বাভাবিক ভাবেই গোটা ঘটনায় মুখ পুড়েছে বিজেপির।