একুশের ভোটযুদ্ধে বিজেপিকে রুখে দিয়ে বাংলায় তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। আর তারপরেই আগামী লোকসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে শুরু হয়েছে অন্যান্য রাজ্যে সংগঠন বিস্তার করে দলকে সর্বভারতীয় স্তরে মেলে ধরার চেষ্টা। ইতিমধ্যেই ত্রিপুরার মাটিতে বিরোধী দলের তকমা আদায় করে নিয়েছে তারা। এবার তাদের পরবর্তী টার্গেট গোয়া অভিযান। জাতীয় রাজনীতিতে অবস্থান শক্তিশালী করতে গোয়া নির্বাচনকেই পাখির চোখ করতে চলেছে তৃণমূল। যদি গোয়া বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাশা অনুযায়ী হয়, তাহলে তৃণমূল জাতীয় রাজনীতিতে তা ‘লঞ্চিং প্যাড’ হিসাবে ব্যবহার করতে পারবে। কংগ্রেসকে সরিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা পেতে শুরু করবে তারা। নিজেদের নামের পাশে প্রধান বিরোধী দলের ট্যাগ যেমন ব্যবহার করতে পারবে তৃণমূল, তেমনই দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মোদী-বিরোধী প্রধান মুখ হিসেবেও তুলে ধরা যাবে।
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই উত্তর-পূর্ব ভারতের পাশাপাশি পশ্চিম ভারতে বিস্তারের কাজ শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল। সূত্রের খবর, তৃণমূলের এই সংগঠন বিস্তারের পরিকল্পনার নেপথ্যে রয়েছেন তৃণমূল ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর৷ পিকের পরিকল্পনা মতোই ত্রিপুরার পর গোয়ায় পা রেখেছে তৃণমূল। ইতিমধ্যেই দ্বীপরাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরো, টেনিস খেলোয়াড় লিয়েন্ডার পেজ, অভিনেতা নাফিসা আলি-সহ অনেক প্রভাবশালী মুখ যোগ দিয়েছেন দলে। পশ্চিম ভারতের পাশাপাশে দক্ষিণ ভারতের দিকেও তৃণমূলের নজর রয়েছে। এক্ষেত্রে তৃণমূলের প্রথম ফোকাস কর্ণাটক। ২০২৩ সালে সে রাজ্যে হতে চলা বিধানসভা নির্বাচনেও তৃণমূলকে নিয়ে পিকের পরিকল্পনা রয়েছে। আর তাই কংগ্রেসের প্রভাবশালী মুখকে দলে অন্তর্ভুক্ত করে সেখানে বেড়ে ওঠার পরিকল্পনা করছে তৃণমূল। উত্তর ভারতের অনেক রাজ্যেও নজর রয়েছে তৃণমূলের।