নির্বাচনের আগের দিন রাতে প্রার্থীদের বাড়িতে হামলা ও ভোটারদের ভয় দেখানোর অভিযোগের আবহে বৃহস্পতিবার সকালে ত্রিপুরার বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়েছে পুরনির্বাচন। আগরতলার বিভিন্ন জায়গা থেকে সিপিএম ও তৃণমূলের এজেন্টদের ভয় দেখানোর পাশাপাশি হামলার খবর এসেছে। যদিও বিজেপির তরফ থেকে সব অভিযোগই অস্বীকার করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, পুরভোটের আগের রাতে আগরতলা-সহ বিভিন্ন জায়গায় সিপিএম এবং তৃণমূলের প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের ভয় দেখানোর অভিযোগ উঠেছে। বাইক বাহিনী এই ভয় দেখানো এবং হামলার কাজে লিপ্ত ছিল বলে অভিযোগ। কংগ্রেসের অভিযোগ রাতে বিভিন্ন গাড়িতে করে আগরতলায় বাইরের লোক ঢোকানো হয়েছে। বাধারঘাট বিধানসভা এলাকায় সিপিএমের আঞ্চলিক কমিটির সদস্য নবকুমার সাহার বাড়িতে হামলা করা হয় বলে অভিযোগ। অন্যদিকে আগরতলার ৫ নম্বর ওয়ার্ডেও হামলার ঘটনা ঘটে। তৃণমূলের প্রার্থী শ্যামল পালের এজেন্টদের ওপরে হামলা করে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। সিপিএম হামলার অভিযোগ করেছে বিলোনিয়াতেও। তৃণমূলের অভিযোগ, আমবাসায় তাদের প্রার্থীর বাড়িতে হামলা করা হয়েছে।
আজ সকালে মক পোল চলার সময়ে আগরতলার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের পোলিং এজেন্টদের ওপরে হামলা করা হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূলের তরফ থেকে বিজেপির ওপরে হামলার অভিযোগ তোলা হয়েছে। ভয়ে তৃণমূলে এজেন্ট বুথে বসতে না চাইলেও প্রার্থী তাঁদের বসার জন্য চাপ দিতে থাকেন। যে ছবি ধরা পড়েছে সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরায়। অন্যদিকে ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডে সবমিলিয়ে ৮ টি বুথ রয়েছে। কোনও বুথেই বিরোধী এজেন্ট দেখা যায়নি। সিপিএম কিংবা তৃণমূলের তোলা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। ভোট শুরু হওয়ার পরে ২০ নম্বর ওয়ার্ডের একটি বুথথে বহিরাগতদের জড়ো করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করে তৃণমূল। ৪ নম্বরও বুথে বিজেপির বিরুদ্ধে একই অভিযোগ তৃণমূলের। আগরতলায় ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের কবিরাজ তিল্লা এবং অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ভোটারদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেছে ঘাসফুল শিবির।