দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসে মার্কিন প্রসিডেন্ট জো বাইডেনকে ‘পুরনো বন্ধু’ বলে সম্বোধন করলেও তাইওয়ান প্রসঙ্গে আমেরিকাকে হস্তক্ষেপ না করার কড়া বার্তা দিয়েছেন শি জিনপিং।
দক্ষিণ চীন সাগর থেকে শুরু করে তাইওয়ান ও তালিবান-সহ একাধিক বিষয়ে ক্রমে সংঘাতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে আমেরিকা ও চীন। এহেন পরিস্থিতিতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক কিছুটা স্বাভাবিক করার উদ্দেশ্যে সোমবার চীনের প্রেসিডেন্ট জিনপিংয়ের সঙ্গে ভারচুয়াল বৈঠকে বসেন বাইডেন। ওই বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে সংঘাত থামাতে নীতিগত সীমারেখা তৈরির প্রস্তাব দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। চীন এবং আমেরিকাকে পারস্পরিক সংযোগ ও সহযোগিতা আরও বাড়িয়ে তুলতে হবে বলে মন্তব্য করেন জিনপিং। কিন্তু প্রায় চার ঘণ্টার আলোচনায় কাঁটা হয়ে রইল তাইওয়ান ইস্যু।
ভারচুয়াল বৈঠকে দু’পক্ষই সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বলে হোয়াইট হাউস সূত্রে খবর। তবে বাইডেন তাইওয়ান ও উইঘুরদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রসঙ্গ তোলায় আবহাওয়া কিছুটা গরম হয়ে ওঠে। হোয়াইট হাউস বৈঠক শেষে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাইওয়ানে চীনা আগ্রাসন নীতির তীব্র বিরোধিতা করেছেন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট। সেই সঙ্গে উত্তর-পশ্চিম চীনের শিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের ওপরে হওয়া মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি নিয়েও সরব হয়েছে আমেরিকা।
পালটা চীনা সরকারি সংবাদ সংস্থা জিনহুয়া জানিয়েছে, তাইওয়ান নিয়ে আমেরিকাকে হস্তক্ষেপ না করার কথা বাইডেনকে মনে করিয়ে দিয়েছেন জিনপিং। তিনি বলেছেন, ‘আমেরিকার কেউ কেউ তাইওয়ানকে ব্যবহার করে চীনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায়। কিন্তু এটা খুবই ভয়ঙ্কর, কারণ আগুন নিয়ে খেলতে গেলে অনেক সময় পুড়ে যেতে হয়।’ উল্লেখ্য, বিগত কয়েক বছর ধরেই দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক পরিকাঠামো গড়ে তুলছে বেজিং। প্রায় গোটা জলরাশিটাই নিজেদের বলে দাবি করেছে তারা। তাইওয়ান দখল করার হুমকিও দিয়েছেন জিনপিং। পালটা সেখানে আণবিক শক্তি চালিত যুদ্ধবিমানবাহী রণতরী পাঠিয়ে শক্তিপ্রদর্শন করছে আমেরিকা।