শহরের উড়ালপুলের ভারবহন ক্ষমতা কতটা, সরেজমিনে তা মেপে দেখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই কারণে শহরের গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি উড়ালপুল বন্ধ থাকার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তবে অত্যধিক ব্যস্ত উড়ালপুলগুলির ভার মাপতে বন্ধ করে রাখা হলে শহরে যানজট তৈরি হওয়ার আশঙ্কা। তাই যানজট এড়াতে বিকল্প পদ্ধতি নেওয়া হবে। সম্প্রতি কলকাতা পুলিশের সঙ্গে এইচআরবিসি-র বৈঠকে তেমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
মাঝেরহাট ব্রিজ বিপর্যয়ের পর থেকেই শহরের উড়ালপুলগুলোর নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। এর পরই প্রশাসনের তরফে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, মাঝেরহাট সেতু ভেঙে পড়ার পর শহরের বিভিন্ন উড়ালপুলের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হয়েছে। এর আগে শিয়ালদহ ও জীবনানন্দ সেতুর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হয়েছিল।
শহরের সমস্ত সেতু ও উড়ালপুলের হাল কী, তা জানতে সেতুগুলির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। উত্তর কলকাতা অরবিন্দ সেতুরও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছিল। বালিগঞ্জের বিজন সেতুরও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। এই পরীক্ষার জন্য সেতুগুলিতে কয়েকদিনের জন্য যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল। কিন্তু এবার টানা বন্ধ না রেখে দিনের কিছু সময় যান চলাচল বন্ধ রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
প্রতিটি উড়ালপুলের ভার মাপতে সময় লাগে কম বেশি আড়াই দিন। কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, নভেম্বরের শেষের দিকে পার্ক স্ট্রিট উড়ালপুলের ভারবহন ক্ষমতা মেপে দেখা হবে। তার পর পর্যায়ক্রমে শহরের বাকি ৪টি উড়ালপুলের ভারবহন ক্ষমতা মাপা হবে।
কিন্তু এজেসি বোস রোড ফ্লাইওভারের মতো ব্যস্ত উড়ালপুল আড়াই দিন ধরে বন্ধ রাখা হলে যানজট মাত্রা ছাড়াবে। তাই ধাপে ধাপে এই উড়ালপুলের ভারবহন ক্ষমতা মেপে দেখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সে ক্ষেত্রে ৮ ঘণ্টা অন্তর অন্তর উড়ালপুল গাড়ি চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হতে পারে।