বাংলায় বিধানসভা ভোটের মাস ছয়েক আগেই ‘দুয়ারে সরকার’ নামক কর্মসূচী ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো ১৬ আস্ট থেকে ১৫ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজ্যে দুয়ারে সরকার শিবিরও করা হয়। পুজোর আগে বন্ধ হয়ে যায় এই প্রকল্পটি। যদিও এবার ফের রাজ্যে এই দুয়ারে সরকার চালু হতে চলেছে। এদিন এই ঘোষণা করেন মমতা। সোমবার জানবাজারে কালীপুজোর উদ্বোধনে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, “১৬ই নভেম্বর থেকে আবার শুরু হবে দুয়ারে সরকার।” এর আগে ২৫শে অক্টোবর মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশাসনিক বৈঠকে বলতে শোনা যায় যে, “উপনির্বাচনের জেরে দুটি এলাকায় দুয়ারে সরকার পুরো করতে পারিনি। কালীপুজোর পর ফের শুরু হবে।” যদিও সেই সময় কোনও দিন ঘোষণা করেননি মমতা।
উল্লেখ্য, দুয়ারে সরকারের প্রকল্পে নজর কেড়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। এই প্রকল্পে ১লা সেপ্টেম্বর থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে সুবিধা পেতে শুরু করেন মহিলারা। তার জন্য দরখাস্ত দিতে হয়। এর মাধ্যমে তফসিলি জাতি–উপজাতির মহিলারা পাচ্ছেন মাসে ১০০০ টাকা। আর সাধারণ পরিবারের মহিলারা মাসিক ৫০০ টাকা পাচ্ছেন। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দেখালেই আবেদন করা যাচ্ছে এই প্রকল্পটিতে। দুয়ারে সরকার প্রকল্পে, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, স্বাস্থ্য সাথী, খাদ্য সাথী, কৃষক বন্ধু, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের টাকার জন্য আবেদন করা যায়। রাজ্য সরকারের নতুন এই প্রকল্পে জেনারেল ক্যাটিগরির পরিবারের কর্ত্রীকে মাসিক ৫০০ টাকা এবং তফসিলি জাতি ও উপজাতি পরিবারের কর্ত্রীকে প্রতি মাসে ১ হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে অর্থাৎ, যোগ্য জেনারেল কাস্ট পরিবার বছরে ৬ হাজার টাকা ও এসসি, এসটি এবং ওবিসি পরিবার বছরে ১২ হাজার টাকা করে পাবে। এর ফলে উপকৃত হবেন ১ কোটি ৬০ লক্ষ মহিলা। সরকারের বাড়তি খরচ হবে বছরে ১২ হাজার কোটি টাকা।