ফের ধাক্কা বিজেপি-তে৷ যদিও এই ধাক্কার আভাস মিলেছিল দিন কয়েক আগেই। অক্টোবরের ১ তারিখ বিজেপি ছেড়েছিলেন রায়গঞ্জের দলীয় বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। তারপর থেকেই জল্পনা চলছিল, এবার তৃণমূলে নাম লেখাবেন তিনি। শেষমেশ তাই সত্যি হল। বুধবার তৃণমূল ভবনে এসে শাসক দলে যোগ দিলেন রায়গঞ্জের বিধায়ক। তাঁকে তৃণমূলে স্বাগত জানান দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
যোগদানপর্বে ছিলেন তৃণমূলে হিন্দিভাষী সেলের সভাপতি তথা জোড়াসাঁকোর বিধায়ক বিবেক গুপ্ত। বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকে তাঁকে নিয়ে মোট ৫ জন বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিলেন। এদিন তৃণমূলে যোগ দিয়ে কৃষ্ণ কল্যাণী বলেন, ‘বিজেপিতে কাজের পরিবেশ নেই, শুধুই ষড়যন্ত্র চলছে। তাই এই দলবদল।’ বিধায়কের কথায়, ‘মমতা যা বলেছেন সেই কথা রেখেছেন।’
তৃণমূলে যোগদানের পর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে এক বছরের সনাতনী বলে কটাক্ষ করেন কৃষ্ণ কল্যাণী। তিনি বলেন, ‘উনি নিজেকে বলেন যে উনি সনাতন ধর্মে বিশ্বাসী। এক বছর আগে বলতেন বিজেপি হটাও, দেশ বাঁচাও। এখন বলছেন তৃণমূল হটাও। তার মানে উনি এক বছরের সনাতন। আর আমি ৪৪ বছরের সনাতন। আমাকে কী ওনার কাছ থেকে সনাতন ধর্ম শিখতে হবে?’
প্রসঙ্গত, কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায়, বড়জোড়ার বিধায়ক তন্ময় ঘোষ, বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস ও কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায় তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। বিধানসভা ভোটে বিজেপি-র পক্ষে জয় পেয়েছিলেন ৭৭ জন। কিন্তু সাংসদ পদ ধরে রাখতে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক ও জগন্নাথ সরকার পদত্যাগ করায় সেই সংখ্যা নেমে এসেছিল ৭৫-এ। কিন্তু একে একে পাঁচজন বিধায়কের দলত্যাগে বিজেপি-র বিধায়ক সংখ্যা নেমে এল ৭০-এ।