সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল (ক্যাট)-এর সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে গিয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার তাঁর দায়ের করা সেই মামলারই শুনানি ছিল। আর তাতে আগামী ২ নভেম্বর অর্থাৎ আগামী সপ্তাহে মঙ্গলবার পর্যন্ত রায়দান স্থগিত রাখল কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ২ নভেম্বর দিল্লীর প্রিন্সিপাল বেঞ্চে মামলাটির ফের শুনানি রয়েছে। তার আগেই রায় ঘোষণা করা হবে।
প্রসঙ্গত, জরুরি ভিত্তিতে শুনানি চেয়ে মঙ্গলবার হাই কোর্টে গিয়েছিলেন আলাপন। তাঁর সেই আর্জি মেনে নিয়ে বুধবারই ওই মামলা শোনে হাইকোর্টের অবসরকালীন বেঞ্চ। তারপর কেন্দ্রের কর্মিবর্গ মন্ত্রকের আইনজীবীর উদ্দেশ্যে বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের প্রশ্ন, ‘আপনাদের কি মনে হয় না যে আপনাদের এই পদক্ষেপের মাধ্যমে মামলাকারীকে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে? আলাপনবাবুর দ্রুততা ছিল বলেই তিনি অবকাশের মধ্যে সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু আপনাদের তাড়াহুড়ো করার কি দরকার ছিল?’
উত্তরে কর্মিবর্গ মন্ত্রকের আইনজীবী আদালতকে জানান, ‘যে কোনও বেঞ্চে মামলা স্থানান্তর করার ক্ষমতা রয়েছে ক্যাট-এর চেয়ারম্যানের। দিল্লীতে আলাপনের সব নথি রয়েছে।’ পাল্টা প্রশ্নে বিচারপতি জানতে চান, ‘সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালের প্রিন্সিপাল বেঞ্চের চেয়ারম্যান কী করে জানলেন যে, আলাপনবাবুর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সব নথি দিল্লীতে আছে?’ উল্লেখ্য, রাজ্যের মুখ্যসচিব পদ থেকে নির্দিষ্ট দিনেই অবসর নিয়েছিলেন আলাপন। অথচ অবসরপ্রাপ্ত কর্মী হিসেবে তাঁর যে সুযোগ ও সুবিধা পাওয়ার কথা, তা না পাওয়ায় ক্যাটের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেখানে কোনও স্থায়ী সমাধান হওয়ার আগেই ২২ অক্টোবর মামলাটি দিল্লীতে স্থানান্তর হয়ে যায়। ক্যাটের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আলাপন।