প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থাকবেন না, তা আগে থাকতেই জানা গিয়েছিল। তবে শোনা গিয়েছিল ষষ্ঠীতে ভার্চুয়াল মাধ্যমে পুজোর উদ্বোধন করবেন দলের সভাপতি জেপি নড্ডা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাও দেখা গেল না। এমনকি বিধাননগরের পূর্বাঞ্চলীয় সংস্কৃতি কেন্দ্রে আয়োজিত পুজোয় দেখা মিলিল না দিলীপ ঘোষেরও। তবে বিতর্ক বাঁধল। আর সেটা জুতো নিয়ে।
দমদম পার্ক ভারতচক্রের মণ্ডপে জুতোর ব্যবহার নিয়ে বিতর্ক বেঁধেছে। এই নিয়ে নানা বয়ান দিচ্ছেন বিজেপি নেতারা। কিন্তু খোদ গেরুয়া শিবিরের পুজো মণ্ডপেই এবার দেখা মিলল খড়মের। আর তাই নিয়েই শুরু হল নতুন বিতর্ক।
ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় বিজেপির নবনিযুক্ত রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও দলের অন্যান্যরা সোমবার প্রদীপ জ্বালিয়ে পুজো উদ্বোধন করেন। থিম চৈতন্যদেব। গোটা মণ্ডপ জুড়ে চৈতন্যদেবের বিভিন্ন কাট আউট রাখার সঙ্গে সঙ্গে মঞ্চের নীচে এক জোড়া প্রতীকি খড়মও রাখা হয়েছে। এই বিষয়ে সুকান্ত বলেন, ‘বাংলার সংস্কৃতিকে বাঁচাতে হবে চৈতন্যদেবের দেখানো পথ ধরেই’।
প্রসঙ্গত, দমদম পার্ক ভারতচক্রের এবারের থিম- তেভাগা আন্দোলন থেকে শুরু করে নীল বিদ্রোহ, সাঁওতাল বিদ্রোহ এবং বর্তমান সময়ের কৃষক আন্দোলন, সবকিছুই ফুটে উঠেছে তাঁদের মন্ডপ সজ্জায়। বাদ যায়নি উত্তরপ্রদেশের লখিমপুরে সাম্প্রতিক দুর্ঘটনাও।
দেশের চলতে থাকা বিভিন্ন সংগ্রামের চিত্র ফুটিয়ে তুলতে মন্ডপে ব্যবহার করা হয়েছে অসংখ্য চটি। কোথাও পড়ে আছে জীর্ণ ছেড়া চটি, আবার কোথাও প্যাণ্ডেলের দেওয়ালে সারিবদ্ধ ভাবে সাজানো রয়েছে চটি। আর এই বিষয়ই শুরু হয়েছিল বিতর্ক। ঠিক তেমনই বিজেপি মন্ডপে থাকা খড়ম নিয়েও বিতর্ক দানা বেঁধেছে।