সুশান্ত কাণ্ডের পর যেভাবে অতিসক্রিয় হয়ে উঠেছিল এনসিবি, এবারও তেমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এবার আরিয়ান কাণ্ডের পর আচমকাই প্রযোজক ইমতিয়াজ ক্ষত্রির বান্দ্রার বাড়িতে হানা দিল এনসিবি। জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালান নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর আধিকারিকেরা। সূত্রের খবর, অচিত কুমার নামের এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় ক্ষত্রির নাম প্রকাশ্যে আসে। চলতি সপ্তাহেই অচিতকে পাওয়াই এলাকা থেকে আটক করা হয়েছিল। তাঁর হেফাজত থেকে হাইড্রোপোনিক উইড উদ্ধার হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদের পর সে ক্ষত্রির নাম জানায়। বর্তমানে ওই ক্রুজ রেভ পার্টির মামলায় ১৮ জনকে গ্রেফতার করেছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। গত শনিবার বিকেলে আরব সাগরের তীরে দাঁড়িয়ে থাকা এক প্রমোদতরী থেকে আটক করা হয়েছিল শাহরুখ পুত্র আরিয়ান সহ মোট আটজনকে। ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর সকলকেই গ্রেফতার করা হয়েছিল রবিবার। বর্তমানে জেল হেফাজতে শাহরুখ পুত্র।
এদিকে ইমতিয়াজ ক্ষত্রি মুম্বইয়ের এক ব্যবসায়ীর পুত্র। এর আগেও মাদক কাণ্ডে তাঁর নাম জড়িয়েছে। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর বলিউডে মাদক যোগ নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল গোটা দেশ। সে সময়েই ইমতিয়াজের নাম প্রকাশ্যে আসে। সুশান্তের প্রাক্তন ম্যানেজার শ্রতি মোদীর আইনজীবী দাবি করেছিলেন, অভিনেতাকে মাদক সরবরাহ করতেন ইমতিয়াজ। পরবর্তীতে বিষয়টি সম্পর্কে জানার জন্য সিবিআইয়ের তরফ থেকে গঠিত সিট শ্রুতিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। শ্রুতি মোদীর আইনজীবী অশোক সারাওগি একের পর এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তোলেন। তাঁর দাবি ছিল, ইমতিয়াজ বলিউডের একাধিক অভিনেতার বাড়িতে মাদক পৌঁছে দিতেন। পাশাপাশি, মন্ত্রী মহলেও তাঁর যোগাযোগ আছে বলে দাবি করেছিলেন আইনজীবী। তিনি বলেছিলেন, ‘ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে মাদক সেবনের চল পুরনো। প্রেমিক মাদক পাচার করতেন বলে এক টেলি অভিনেত্রী আত্মহত্যা করেছিলেন। ডফিকে মমতা কুলকার্নির মতো ঘটনা তো রয়েছেই।’