ভবানীপুর-সহ তিন কেন্দ্রে ভোটের ফলাফল প্রকাশের পরই বকি চার কেন্দ্রের নির্বাচনের তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে। ভোটের ফল প্রকাশ হতে না হতেই দিনহাটা শান্তিপুর, খড়দহ ও গোসাবা কেন্দ্রে প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার প্রতিপক্ষ বিজেপির প্রার্থী নির্বাচনের পালা। কিন্তু সেখানে আবার মুকুল-জুজু দেখতে শুরু করেছে বিজেপি।
সোমবার সকালে চার কেন্দ্রে প্রার্থী বাছতে গিয়ে হোঁচট খেয়ে কমিটি গঠন করেই ক্ষান্ত থেকেছে বিজেপি। নির্বাচন কমিটিই বিজেপির প্রার্থী চূড়ান্ত করবে এবার। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, চার কেন্দ্রের মধ্যে দুটি কেন্দ্র নিয়ে তেমন সমস্যা নেই গেরুয়া শিবিরের। কিন্তু দিনহাটা ও শান্তিপুর নিয়ে বিজেপি চিন্তায় পড়েছে।
চার কেন্দ্রের মধ্যে বিজেপি দুটি কেন্দ্রে বিজয়ী হয়েছিল, বাকি দুটি কেন্দ্রে হেরেছিল তৃণমূলের কাছে। খড়দহ ও গোসাবা কেন্দ্রে তৃণমূল বিধায়কের প্রয়াণে ফের উপনির্বাচন হচ্ছে। এই দুটি কেন্দ্র নিয়ে বিজেপির বিশেষ চিন্তা নেই। কিন্তু দিনহাটা ও শান্তিপুর বিধানসভা কেন্দ্রে জয়ী হয় বিজেপি। দুই সাংসদকে প্রার্থী করায় তাঁরা পদত্যাগ করেন। এখন বিজেপির কাছে চ্যালেঞ্জ এই দুটি আসন ধরে রাখা।
পুজো মিটলেই রাজ্যের চার কেন্দ্রে উপনির্বাচন। ৩০ অক্টোবর উপনির্বাচনে বিজেপি একটি আসনে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। নদিয়ার শান্তিপুর নিয়ে বিজেপি অনেকটাই নিশ্চিন্ত। দিনহাটা নিয়ে অবশ্য অতটা নিশ্চিত নয়, কারণ দিনহাটা সামান্যতম মার্জিনে জিতেছিলেন নিশীথ প্রামাণিক। তবে বিজেপি এই দুটি আসনের জন্যই ঝাঁপাবে।
বিজেপির কাছে এখন ভীতি হয়ে গিয়েছে, যাঁদের প্রার্থী করা হবে, তাঁরা আবার মুকুল রায়ের পদাঙ্ক অনুসরণ করবে না তো! মুকুল রায়, তন্ময় ঘোষ, বিশ্বজিৎ দাস বা সৌমেন রায়ের মতো বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেবেন না তো! বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব এই দুই কেন্দ্রের জন্য এমন প্রার্থী চাইছেন, যিনি দলের প্রতি অনুগত থাকবেন।