ভবানীপুর উপনির্বাচনে নিঙ্কুশ জয় পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভেঙে দিয়েছেন অতীতের সমস্ত রেকর্ড। কিন্তু এবার তাঁর শপথ পাঠের স্থান নিয়ে তৈরি হয়েছে নয়া টানাপোড়েন। জটিলতার কেন্দ্রে মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজভবন।
সূত্রের খবর, চলতি সপ্তাহেই বিধায়ক হিসেবে শপথ নেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে শপথ নেবেন জঙ্গিপুর এবং সামশেরগঞ্জ থেকে জয়ী দুই বিধায়কও। তবে কোথায় হবে সেই শপথ পাঠ? তৈরি হয়েছে নয়া জটিলতা। সূত্রের খবর, বিধানসভায় এসে বিধায়ক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আরও দুই বিধায়ককে শপথবাক্য পাঠ করানোর আর্জি জানানো হয়েছে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরকে। এই বিষয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, ‘কোনও বিতর্কের মধ্যে যাচ্ছি না। আমরা রাজ্যপালকে অনুরোধ করেছি, বিধানসভার গরিমা অনুযায়ী আসতে। আগামী ৭ তারিখ দুপুর ১২টার আগে আমরা চাইছি, বিধানসভায় এসে মুখ্যমন্ত্রীকে শপথবাক্য পাঠ করান’। এরপর সংবিধানের পাঠ দিয়ে পাল্টা উত্তর দিয়েছে রাজভবন।
জটিলতার সূত্রপাত গত সপ্তাহে। সূত্রের খবর, রাজভবনের তরফে বিধানসভায় একটি বার্তা পাঠানো হয়। যেখানে বলা হয় এবার থেকে বিধায়কদের শপথবাক্য পাঠ করাবেন রাজ্যপাল। কারণ, সাংবিধানের নিয়মে লোকসভায় সাংসদদের শপথবাক্য পাঠ করানোর দায়িত্ব রাষ্ট্রপতির। বিধানসভায় দায়িত্ব রাজ্যপালের। তবে সেই দায়িত্ব রাষ্ট্রপতি লোকসভার স্পিকারকে দিয়ে থাকেন এবং রাজ্যপাল বিধানসভার অধ্যক্ষকে। রাজভবন সূত্রে খবর, অধ্যক্ষকে রাজ্যপালের দেওয়া সেই ক্ষমতা সম্প্রতি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। ফলে এবার রাজ্যপালই শপথবাক্য পাঠ করাতে পারেন।
সূত্রের খবর, যদি রাজভবন শপথবাক্য পাঠ করানো নিয়ে অনড় থাকে তবে সেইঅনুষ্ঠান বয়কট করতে পারেন বিধানসভার অধ্যক্ষ এবং পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।