এর আগে ভিন্ন সুর গেয়ে প্রতিবাদী কৃষকদের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি। জানিয়েছিলেন, কৃষকরাই আমাদের রক্ত, মাংস। মর্যাদা সহকারে ওদের সঙ্গে ফের আলোচনায় বসা উচিত আমাদের। ওদের কষ্ট, বেদনা, দৃষ্টিভঙ্গি বোঝা, সহমতে পৌঁছতে ওদের সঙ্গে কাজ করা দরকার। এবার যখন লখিমপুর-খেরির কৃষক বিক্ষোভ ও হিংসার পিছনে খলিস্তানিরা আছে বলে দাবি করছে বিজেপি, তখন ফের বেসুরো বিজেপি সাংসদ বরুণ গান্ধী। সোমবার ওই মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করে তিনি বলেন, ওই মন্তব্য ‘ঘৃণাসূচক ও নিষ্ঠুর’। তাঁর মতে, এখন লখিমপুর খেরির মানুষ শান্ত হয়ে আছেন। কিন্তু ধরনের মন্তব্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হতে পারে। বরুণের কথায়, ‘এই ধরনের মন্তব্য দুর্ভাগ্যজনক। একইসঙ্গে তা দেশের পক্ষে বিপজ্জনকও বটে। আন্দোলনরত কৃষকরা কী বলতে চান আমরা বুঝতে চাইছি না। তার বদলে তাঁদের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করা হচ্ছে।’
প্রসঙ্গত, বিজেপির মুখপাত্র হরিশচন্দ্র শ্রীবাস্তব বলেছিলেন, রবিবারের হিংসার পিছনে আছে খলিস্তানিরা। কিন্তু বরুণের মতে, কোনও ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর ‘অপরাধমূলক অবহেলা’র জন্যই হিংসা ছড়িয়ে পড়েছিল। তাঁর দাবি, পরিস্থিতি শান্ত না হওয়া পর্যন্ত রাজনীতিকদের অপেক্ষা করা উচিত। কারণ ‘মাঝে মাঝে রাজনীতির জন্য পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠতে পারে।’ তিনবারের সাংসদ বরুণ বলেন, ‘একটি সম্প্রদায়ের মানুষ কয়েক প্রজন্ম ধরে দেশের স্বার্থে প্রাণ দিয়ে এসেছেন। আমরা যদি তাঁদের সম্পর্কে ঘৃণাসূচক মন্তব্য করি, তাহলে, ঈশ্বর না করুন, শান্তিপূর্ণ মানুষের মধ্যেও প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।’ পরে তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে আমি যে খবর পেয়েছি, তাতে মনে হয় কোনও ব্যক্তি বা গোষ্ঠী অপরাধ করেছিল। তাদের গ্রেফতার করা উচিত। আমি নিশ্চিত, তারা গ্রেফতার হবে।’