ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে বিজয়ের হাতছানি। জয়জয়কার মমতার। জয়জয়কার তৃণমূলের। একটার পর একটা রাউন্ড গণনা চলছে, আর ভবানীপুরে ক্রমাগত ব্যবধান বাড়াচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উচ্ছাসে পথে নেমে এসেছেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা। পুজোর আগেই কালীঘাট চত্বরে রীতিমতো ঢাকঢোল বাজিয়ে, গান চালিয়ে উৎসবে মত্ত তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থকরা। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, নবম রাউন্ডের গণনার শেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পেয়েছেন ৩৭৫০৪ ভোট, বিজেপি প্রার্থী পেয়েছেন ৮৬৭৯ ভোট। সিপিএম প্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাস পেয়েছেন ৮৭৫ ভোট। অর্থাৎ, ২৮৮২৫ ভোটে এগিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাকি দুই কেন্দ্রে, অর্থাৎ জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জেও ছবিটা এখন ধরনের। সেখানেও বড় ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল।
উল্লেখ্য, গত বিধানসভা নির্বাচন বা লোকসভা নির্বাচনে যে পরিমাণ ভোট পড়েছিল, উপনির্বাচনে তার তুলনায় কম ভোট পড়ে। কমিশন সূত্রে জানা যায়, উপনির্বাচনে ৫৭ শতাংশের কিছু বেশি ভোট পড়েছে ভবানীপুরে। তাই মমতা যদি জয়লাভ করেনও, তা হলেও তাঁর জয়ের ব্যবধান কত হবে সেই নিয়ে কিছু সংশয় ছিল তৃণমূলের। কিন্তু গণনার প্রাথমিক ট্রেন্ড দেখার পর সেই সংশয়ের আর কোনো রেশ থাকল না। বলাই যায়, জয় প্রায় নিশ্চিত মমতার।
প্রসঙ্গত, ২০২১ বিধানসভা ও ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের তুলনায় মমতার ব্যবধান বাড়িয়ে নেওয়ার হার অনেকটাই বেশি। গত বিধানসভা নির্বাচনে ৭ রাউন্ড শেষে প্রায় ২০ হাজার ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। সেই জায়গায় মমতা নিজের ব্যবধান ২৫ হাজারে নিয়ে গিয়েছেন। গত লোকসভা ভোটেও ৭ রাউন্ড শেষে এগিয়ে ছিল তৃণমূল। তবে সেবার এগিয়ে থাকার ব্যবধান ছিল প্রায় ১৩ হাজার। কিন্তু মমতা নিজের চেনা আসনে ফিরে আসতেই তাঁর ব্যবধান লক্ষ্যণীয়ভাবে আরও বেড়ে যায়। অন্যদিকে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, সামশেরগঞ্জে অষ্টম রাউন্ড শেষে ৬ হাজার ২৩৫ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী। পাশাপাশি জঙ্গিপুরে পঞ্চম রাউন্ড গণনা শেষে ১৫ হাজার ৭৪৩ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন জাকির হোসেন।