২৬ এপ্রিলের পর ৩০ সেপ্টেম্বর। পাঁচ মাস পর ফের ভবানীপুরের ভোট কেন্দ্রে মমতা। সেবার এসেছিলেন ভাঙা পায়ে। হুইলচেয়ারে চেপে। তাঁর জন্য ভোট কেন্দ্রে তৈরি করা হয়েছিল বিশেষ কাঠের পাঠাতন। এবার এলেন পায়ে হেঁটেই। সেবার লক্ষ্য ছিল গোটা রাজ্যে তৃণমূলের জয়। এবার নিজেই প্রার্থী তিনি।
ভোটের দিন সকাল থেকে বাড়িতেই থাকেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিকেলের দিকে বেড়িয়ে ভোট দেন। ভবানীপুরের উপনির্বাচনেও এই ট্রেন্ডের কোনও পরিবর্তন হল না। বৃহস্পতিবার দুপুর ৩ টে নাগাদ ভবানীপুরের মিত্র ইনস্টিটিউটে এসে ভোট দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট থেকে বেরিয়ে সোজা ভোটকেন্দ্রে পৌঁছন তিনি। পথে বেশ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলেন। দুপুর ৩ টে ১০ নাগাদ ভোট দিতে ঢোকেন মুখ্যমন্ত্রী। বেরিয়ে আসেন ৫ মিনিটের মধ্যেই। তবে ভোট দেওয়ার আগে বা পরে কোনও মন্তব্য করেননি তৃণমূল নেত্রী। তবে ভোট দিয়ে বেড়িয়ে এসে সেই চিরচেনা ভঙ্গিতে জয়ের চিহ্ন দেখিয়ে ছিলেন দুই আঙুল তুলে।
উল্লেখ্য এপ্রিল মাসে মমতা ছিলেন স্রেফ এই কেন্দ্রের ভোটার। তিনি নিজের নিয়ম ভেঙেই ২০২১ এর ভোটে প্রার্থী হয়েছিলেন নন্দীগ্রাম থেকে। আর এই ভবানীপুর কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছিলেন তাঁর অনুগত রাজ্যের কৃষি মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। বিজেপি প্রার্থী রুদ্রনীলকে ২৮ হাজারেরও বেশি ভোটে হারালেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই আসন ছেড়ে দেন শোভনদেব। এবার মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিজেপির প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। আর বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় খড়দহের প্রার্থী।