মঙ্গলবার রাজ্যের বাকি চার আসনে উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা করেছে কমিশন। ৩০ অক্টোবর খড়দহে ভোট। দিন ঘোষণা হওয়া মাত্রই প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়ল তৃণমূল। শুরু হয়ে গেল শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের সমর্থনে দেওয়াল লিখন।
খড়দহ বিধানসভার খালপোল, পানশীলা, পঞ্চাননতলা বাজার, রহড়া বাজার-সহ বিভিন্ন এলাকায় শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের সমর্থনে ফ্লেক্স লাগান শাসক দলের কর্মী সমর্থকরা। এই প্রসঙ্গে দমদম-ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান তথা বিধানসভার মুখ্যসচেতক নির্মল ঘোষ বলেন, ‘তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জয়ী হবেন। তাঁর হাত ধরে খড়দহের মানুষের একতা, ঐক্য, শান্তি এবং উন্নয়ন আরও শক্তিশালী হবে। জয়ের ব্যবধান আরও বাড়বে।
এদিন রাজ্য তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সম্পাদক তথা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের পুত্র সায়নদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘৫০ হাজারের বেশি ভোটে জেতা আমাদের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য পূরণ করতে আমরা প্রতিটি মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা এবং উন্নয়নমূলক প্রকল্পের প্রচার করব। আগামী ২ অক্টোবর নির্বাচন পরিচালনার জন্য কার্যালয় উদ্বোধন করা হবে’।
প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার আগেই করোনায় মৃত্যু হয় খড়দহের তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিনহার। ফল প্রকাশের পর জানা যায়, তিনি জয়ী হয়েছিলেন। পরবর্তীতে ভবানীপুরের বিধায়ক পদ ছাড়েন রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। খড়দহের বিভিন্ন রাজনৈতিক এবং সামাজিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে শুরু করেছিলেন। কানাঘুষো শুরু হয়, খড়দহ থেকেই উপনির্বাচনে লড়াই করবেন তিনি। এখনও দলের তরফে প্রার্থীর নাম ঘোষণা না হলেও শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের সমর্থনে খড়দহে শুরু হয়েছে প্রচার। প্রয়াত কাজল সিনহার আসনে লড়ছেন তিনি। কাজল সিনহার স্ত্রী জানিয়েছিলেন, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় তাঁর দাদার মতো। প্রয়োজনে তাঁর হয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচারও করবেন প্রয়াত তৃণমূল নেতার স্ত্রী।