আফগানিস্তানে তালিবানি শাসন শুরু হওয়ার পর প্রথমবার আখুন্দজাদা সরকারের পক্ষ থেকে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করা হল। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, ডিজিসিএ-কে লেখা চিঠিতে পুনরায় ভারত ও আফগানিস্তানের মধ্যে বিমান চালুর আর্জি জানিয়েছে তারা।
জানা গেছে অসামরিক বিমান পরিবহনের ডিরেক্টর জেনারেল অরুণ কুমারকে ৭ সেপ্টেম্বর চিঠি পাঠায় তালিবানদের অসামরিক বিমান পরিবহন দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী আলহাজ হামিদুল্লাহ আখুন্দজাদা। চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘আপনারা জানেন মার্কিন সেনা ক্ষমতা হস্তান্তরের আগে কাবুল বিমানবন্দরকে ক্ষতিগ্রস্ত ও অকেজো করে দিয়েছে। কিন্তু পরে কাতারের বন্ধুদের সহায়তায় বিমানবন্দরটি ফের কর্মক্ষম হয়ে উঠেছে’।
সেই সঙ্গে আখুন্দজাদার আবেদন, দুই দেশের মধ্যে যাতে ফের বিমান চলাচল আগের মতোই মসৃণ হয় সেই উদ্দেশ্যে ফের পদক্ষেপ করা হোক। গত ৯ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় বিমান পরিষেবা মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া আফগানিস্তানের সঙ্গে বিমান চলাচল প্রসঙ্গে জানিয়েছিলেন, ‘আমরা এখন আফগানিস্তানের আকাশপথকে এড়াতে দীর্ঘ রুট ধরে চলাচল করছি। অন্য আন্তর্জাতিক উড়ান সংস্থাও সেটাই করছে। পরিস্থিতি শুধরোলে আবার পুরনো পথই ব্যবহার করা হবে’। তখনও অবশ্য এই চিঠির কথা প্রকাশ্যে আসেনি।
৩১ আগস্ট দোহায় দুই দেশের একটি বৈঠক হলেও আফগানিস্তানের তালিবান শাসনকে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়নি ভারত। কাবুল থেকে ভারতের শেষ বিমান ওরে আগস্টের ২১ তারিখে। সেই বিমানে দেশে ফিরিয়ে আনা হয় ভারতীয় নাগরিকদের। এই পরিস্থিতিতেই এবার তালিবানের তরফে বিমান চলাচল শুরুর আর্জি জানানো হল। ওই সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারত আপাতত কাবুল বিমানবন্দর ও আফগানিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছে।