দেশজুড়ে এখন উৎসবের মরশুম। গণেশ পুজো দিয়ে যার সূচনা হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে। গণেশ বিসর্জনের পর মহারাষ্ট্রে বাড়তে দেখা গিয়েছে সংক্রমণ। আবার বাঙালিও তৈরি হচ্ছে ‘গ্রেটেস্ট শো অফ দ্য ইয়ার’ দুর্গাপুজোর জন্য। লাস্ট ল্যাপে এসে গিয়েছে শারদ উৎসব। চলছে ফিনিশিং টাচ।
বৃহস্পতিবার কোভিড সতর্কতা নিয়ে একগুচ্ছ নিয়ম-নির্দেশিকা ঘোষণা করল কেন্দ্র সরকার। আসন্ন উৎসবের মরশুমের কথা বিবেচনায় রেখে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে। বলা হয়, কোভিড-১৯ সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের বেশি হলে, সেই সব জেলায় উৎসব করা যাবে না। অন্যত্র বিধি মেনে উৎসব চলতে পারে। তাছাড়া এবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে কোভিড টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।
উত্তর ভারতেও চলছে নবরাত্রি, দশেরার প্রস্তুতি। এরপর একে একে ইদ, করবা চৌথ, লক্ষ্মীপুজো, দীপাবলি, ভাইফোঁটা, ছটপুজো, গুরু নানক জয়ন্তী হয়ে বড়দিন ও নববর্ষ। বিভিন্ন সময় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে উৎসবে মাতবে মানুষ। হবে জনসমাগম। যা রুখতে ইতিমধ্যেই অনুরোধ, উপদেশ, নির্দেশিকা জারি করা চলছে।
এর উপর আবার রয়েছে তৃতীয় তরঙ্গের ভ্রুকুটি। এর মধ্যে আরও কিছু নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্র। বলা হয়েছে, দেশের যেসব জেলায় সংক্রমণের হার পাঁচ শতাংশ বা তার বেশি, সেখানে কিছুতেই জনসমাবেশ করা যাবে না। যেসব এলাকায় হার পাঁচ শতাংশের কম, সেখানে তবু উৎসব চলতে পারে, কিন্তু অত্যন্ত কড়াভাবে মেনে চলতে হবে বিভিন্ন কোভিডবিধি। এমন নির্দেশে আশঙ্কার মেঘ দুর্গাপুজোয়। রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে এই নির্দেশিকা পাঠিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভুষণ।