দিন কয়েক আগে ছাত্র বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছিল বিশ্বভারতী। কলকাতা হাইকোর্টের হস্তক্ষেপে আপাতত অচলাবস্থা কেটেছে। উপাচার্য যখন ৫ দিনের ছুটি নিয়েছেন, তখন তাঁর অপসারণের দাবিতে ফের আন্দোলনে নামার হুমকি দিল বিশ্বভারতী শান্তিনিকেতন বাঁচাও যৌথ মঞ্চ। চিঠি দেওয়া হল রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী, এমনকী শিক্ষামন্ত্রীকেও।
৩ পড়ুয়াকে কেন বহিষ্কার? বিশ্বভারতীতে ২৭ অগাস্ট থেকে আন্দোলনে নেমেছিলেন ছাত্রছাত্রীরা। খোদ উপাচার্যের বাসভবনের সামনে মঞ্চ বেঁধে চলছিল বিক্ষোভ। মামলা গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে। স্রেফ আন্দোলন প্রত্যাহার করাই নয়, বহিষ্কৃত ৩ পড়ুয়াকে ফের ক্লাস ফেরানোর নির্দেশ দেয় আদালত। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, বিশ্বভারতীর আন্দোলনে বহিরাগতদেরও ইন্ধন রয়েছে। এদিকে পড়ুয়াদের আন্দোলনকে সমর্থন জানাতে আবার তৈরি করা হয় ‘বিশ্বভারতী শান্তিনিকেতন বাঁচাও যৌথ মঞ্চ’। উপাচার্যকে অপসারণের দাবিতে এবার বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি দিলেন ওই মঞ্চের সদস্যরা।
এদিন বৈঠক করলেন অধ্যাপক, ছাত্র , বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতি, আলাপিনী মহিলা সমিতি সহ বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত মানুষেরা। যৌথ মঞ্চের তরফে অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য বলেন, ‘বিশ্বভারতীর মেলা মাঠ বাঁচাও কমিটি, আশ্রমিক, অধ্যাপক সকলের বিরুদ্ধে একের পর এক অনৈতিক কাজ করে চলেছে উপাচার্য। এর প্রতিবাদে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা করছি। আমরা ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছি। কার্যকরী কোনও পদক্ষেপ করা না হলে, ফের আন্দোলনে নামব’।
বিশ্বভারতীর উপাচার্য হওয়ার পর বারবারই বিতর্কে জড়িয়েছেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। বুধবার থেকে রবিবার পর্যন্ত ছুটি নিয়েছেন তিনি। কেন? সূত্রের খবর, পড়ুয়াদের আন্দোলনে উপাচার্যের ভূমিকায় খুশি নয় কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রক। বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে ডেকে পাঠানো হয়েছে দিল্লীতে। সেকারণেই ৫ দিনের ছুটি নিয়েছেন উপাচার্য।