ভোটের দিন তিন বিধানসভা কেন্দ্রেই ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করুন। চক্রবেড়িয়ার প্রচার সভা থেকে এই বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন,”বৃষ্টি হলেও বাইরে বেরিয়ে ভোট দেওয়া জরুরি। ওই দিন ছুটি ঘোষণা করেছি। যেখানে যেখানে ভোট সেখানে ছুটি ঘোষণা করেছে অর্থ দফতর ও শ্রম দফতর। বেসরকারি কর্মীরাও সবেতন ছুটি পাবেন। মা-ভাই-বোনেরা ৩৬৫ দিন যে কাজটা করি, যদি চান সেটা আমি চালিয়ে যাই তাহলে একটা ভোট আমাকে আশীর্বাদ হিসেবে দেবেন।”
এর পাশাপাশি তৃণমূল নেত্রী স্মরণ করিয়ে দেন, মুখ্যমন্ত্রী থাকতে হলে তাঁকে উপভোটে জিতে আসতে হবে। তাঁর কথায়,”আমার দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার লোকের অভাব নেই। বর্ষা, ঝড়-ঝঞ্ঝাকে রুখে নতুন ভাবে কণ্ঠ মিলিয়ে বলতে হবে আমরা শুনেছি ওই মাভৈঃ মাভৈঃ…। তুফান আসুক, টর্নেডো আসুক- সব কিছুকে জয় করে ভোটাধিকার প্রয়োগ করুন। ভোট মেশিনে আমার চিহ্ন নম্বর ওয়ান।”
বিজেপিকে নিশানা করে নেত্রী বলেন,”নির্বাচন ঠিকভাবে করা হলে বিজেপি ৩০টা আসন পেত না। ৫০টা আসন গায়ের জোরে জিতেছে। গোটা দিল্লী হাজির হয়েছিল বাংলায়। ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করত। সাধারণ মানুষের কোনও কথা শুনত না। সিপিএমের সঙ্গে লড়েছি ৩০ বছর।
জীবন্ত লাশের মতো বেঁচে আছি। নন্দীগ্রামে মনোনয়ন জমা দিলাম। পরিকল্পনা করে এমন করে দিল, দেড় মাস হুইলচেয়ারে প্রচার করতে হল। ডাক্তাররা বলল প্রচার করতে পারবেন না। হঠাৎ মাথায় বুদ্ধি এল কেউ যেন বলে দিল হুইলচেয়ারে করো। অনেক চিন্তা ছিল। ভালো কাজ করলে দিশা দেখায় ঈশ্বর, আল্লাহ।”
ভবানীপুরের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ সম্পর্কের কথাও উল্লেখ করেছেন মমতা। তিনি বলেন,”ভ-এ ভবানীরপুর। ভ-এ ভারতমাতা। ৬ বার দক্ষিণ কলকাতা থেকে নির্বাচিত হয়েছি। ২০১১ সালে উপনির্বাচনে লড়াই করেছিলাম। ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হয়। আমার দল তো ক্ষমতায় আছেই। আমি যতক্ষণ না বিধায়ক হব মুখ্যমন্ত্রী পদটা শোভনীয় হবে না। এই পদে থাকার জন্য ৬ মাসের মধ্যে নির্বাচিত হতে হবে। ভালোই হয়েছে। ভবানীপুরে দাঁড়ানোর সুযোগ করে দিয়েছে। এটাই অদৃষ্ট- তুমি ভবানীপুর থেকে ভারত দেখবে।”