ভবানীপুর থেকে শুরু করেই ভারত জয় করবেন তিনি। বিজেপিকে ছুঁড়ে ফেলে দেবেন সরকার থেকে। হাইভোল্টেজ ভবানীপুর উপনির্বাচনের প্রচারে বেরিয়ে প্রতিদিনই বিজেপিকে কার্যত তুলোধনা করছেন তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনও চক্রবেড়িয়ায় ছোট পথসভা থেকে বিজেপিকে নানা বিষয়ে বিঁধেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। একই সঙ্গে এদিন দাবি করেছেন, ‘বিজেপি ৩০ আসনও পেত না বিধানসভা নির্বাচনে। কিছু আসন গায়ের জোরে জিতেছে। চ্যালেঞ্জ করে বলছি৷ আমাদের প্রশাসনের কোনও কথা শুনত না। কেন্দ্র থেকে প্রশাসন চালাত ওরা।’
ভবানীপুরের ভোটকে সার্বিক অর্থেই জাতীয় স্তরে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলতে চাইছে তৃণমূল। একে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী, তার উপর এই নির্বাচনকে গুরুত্ব দিচ্ছে বিজেপিও। তাই প্রচারেও শুধু নিজের জেতার কথা বলছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বরং আক্রমণ শানাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহদের। টেনে আনছেন ত্রিপুরা-অসমের প্রসঙ্গও। এদিন ভবানীপুরবাসীর মন জিততে ফের তিনি বলেন, ‘আমি এখানের সব জায়গায় মিটিং করেছি। ভবানীপুর সব দিক থেকে আমাকে সাহায্য করেছে। দূর্গা পুজো থেকে শুরু করে সব উৎসবে আমি ভবানীপুর। এই জায়গা মিনি ইন্ডিয়া। ছোট খাটো ভারতবর্ষ। এখানে সব রাজ্যের মানুষ এসে থাকেন। বি তে ভারতবর্ষ। বি তে ভবানীপুর। ভারতবর্ষ শুরু হয় এখান থেকেই। ভবানীপুর থেকেই দেশ দেখবে। এটাই হয়তো লেখা ছিল।’
বিজেপিকে একহাত নিয়ে মমতার আক্রমণ, ‘বিজেপি ডেলি প্যাসেঞ্জারি করে৷ অনেক স্ক্যান্ডেল করে। অনেক অত্যাচার করেছে। তাও মানুষ আমাদের জিতিয়েছেন। আমি আজও বলছি কৃষি বিল প্রত্যাহার করতে হবে। ওদের সঙ্গে কেউ কথা অবধি বলল না। আমার পূর্ণ সমর্থন আছে কৃষকদের প্রতি।’ এরপরই ত্রিপুরায় তৃণমূলের উপর একের পর এক আক্রমণ, ১৪৪ ধারা জারি প্রসঙ্গ টেনে আনেন তৃণমূল নেত্রী। বিজেপিকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘ভবানীপুরে ভোট চাওয়ার আগে বিজেপি বলুক, ত্রিপুরায় ১৪৪ ধারা জারি করে কীভাবে পুজো হবে? আমি কখনও এমন কাজ করি না। আমি তো সব গলিতে যাই, পুজোতে হাজির থাকি। আমার প্রশাসন পুজোতে সব ধরণের সাহায্য করে। আমি সব ধর্মকেই বিশ্বাস করি।’