২৫ হাজার কেজি হেরোইন পাচার ইস্যুতে এবার তেড়েফুড়ে ময়দানে নামছে কংগ্রেস। আমজনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি তদন্তের দাবি তুলে সরব হয়েছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। গুজরাতের মুন্দ্রা বন্দরের মাধ্যমে ড্রাগ পাচারকাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের নেতৃত্বে কমিশন তৈরির দাবিও তুলেছে কংগ্রেস। জাতীয় সুরক্ষাও এবার প্রশ্নচিহ্নের সামনে, দাবি হাত শিবিরের।
এই প্রসঙ্গে কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন, দেশের আইন মন্ত্রকের বার্ষিক বাজেট ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা। সেক্ষেত্রে একটি কোম্পানির লিগাল ফি বাবদ বাজেট কীভাবে ৯ হাজার কোটি টাকা হতে পারে? এটা ক্রমেই সামনে আসছে যে এই টাকা ঘুষ হিসাবে দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে প্রশ্নটা খুব সহজ। মোদী সরকারের কাকে এই ৮.৫৪৬ কোটি টাকা ঘুষ হিসাবে দেওয়া হয়েছিল? কে এই টাকা নিয়েছিল? প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব।
এদিকে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ই -কমার্স সংস্থা আমাজন ইন্ডিয়া দুটি আর্থিক বছরে প্রায় ৮.৫৪৬ কোটি টাকা খরচ করেছে। এমনটাই প্রাথমিকভাবে কেন্দ্রীয় সরকার জানতে পেরেছে। তবে কোম্পানির দাবি, লিগাল ফি সহ নানা খাতে সেই টাকা খরচ করা হয়েছে। কংগ্রেস মুখপাত্রের দাবি, ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে আমাজনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি আমেরিকার কাছে কি রাখবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী? এটা কি জাতীয় সুরক্ষা ভঙ্গের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়? নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহের নাকের ডগায় কীভাবে এই কাণ্ড হয়? কেন মুন্দ্রা বন্দর নিয়ে তদন্ত হচ্ছে না? প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব।