কেন্দ্রীয় ইঞ্জিনিয়ারিং প্রবেশিকা পরীক্ষার পর এবার কেন্দ্রীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষাতেও বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগ। ৫০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে অনৈতিকভাবে পড়ুয়াদের প্রবেশিকা পরীক্ষায় পাশ করানোর অভিযোগ মহারাষ্ট্রের এক কোচিং সেন্টারের বিরুদ্ধে। বুধবার এই খবর মিলেছে সিবিআই।
আর কে এডুকেশানাল কেরিয়ার গাইডেন্স নামের মহারাষ্ট্রের এক কোচিং সেন্টার কেন্দ্রীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে তাদের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার বন্দোবস্ত করত। বিভিন্ন ভাবে তারা কেন্দ্রীয় সরকারের নেওয়া নিট মেডিক্যাল পরীক্ষায় নকল করতে সাহায্য করত। কখনও কখনও ভুয়ো পরীক্ষার্থী সাজিয়েও পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হত। সিবিআই সূত্রের খবর, বেশ কিছু পরীক্ষাকেন্দ্রের সঙ্গে যোগসাজশ ছিল এই কোচিং সেন্টারটির। এই সেন্টারে যে পড়ুয়ারা বিপুল অঙ্কের টাকা দিতে ভর্তি হত, তারা যাতে ওই পরীক্ষাকেন্দ্রেই পরীক্ষা দিতে পারে, সেটা নিশ্চিত করতে সেইমতো তাঁদের রেজিস্ট্রেশন আইডি এবং অন্যান্য নথিতে পরিবর্তনও করত। এই কাজে সরকারি কর্মীরাও তাদের সাহায্য করত। সব মিলিয়ে এই দুর্নীতির মূল অনেক গভীরে। সিবিআই সূত্রের খবর, ওই কোচিং সেন্টারের একাধিক ঠিকানায় তল্লাশি চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এর আগে একই রকমভাবে কেন্দ্রীয় ইঞ্জিনিয়ারিং প্রবেশিকা পরীক্ষাতেও বড়সড় দুর্নীতির হদিশ মিলেছে। একটি বেসরকারি সংস্থার বিরুদ্ধে অনলাইনে হওয়া এই পরীক্ষাকে প্রভাবিত করার অভিযোগ জমা পড়েছিল সিবিআইয়ের কাছে। অভিযোগ, অনলাইন পরীক্ষায় প্রযুক্তির ব্যবহার করে কিছু পড়ুয়াকে অনৈতিক সুবিধা পাইয়ে দিয়েছে সংস্থাটি। সিবিআইয়ের কাছে আসা অভিযোগে দাবি করা হয়েছে, এই সংস্থাটির সঙ্গে যুক্ত কর্মী এবং শিক্ষকরা দেশের বাছাই করা কিছু পরীক্ষাকেন্দ্রে রিমোট অ্যাক্সেসের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের হয়ে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল। সেই সংস্থার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিয়েছে।