বৃহস্পতিবার তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জৈন মন্দিরে আরতির মাধ্যমে শুরু করলেন প্রচার। এরপর পদ্মপুকুরে নির্বাচনী জনসভা থেকে মমতার বার্তা, ‘বি থেকে শুরু ভবানীপুর, বি থেকেই শুরু ভারতবর্ষ। ভবানীপুর থেকেই শুরু ভারতবর্ষ।’ ভবানীপুর ভোটের পরেই যে টার্গেট দিল্লীর মসনদ তা আরও একবার বুঝিয়ে দিলেন তৃণমূলনেত্রী। এদিনের সভা থেকেই নন্দীগ্রামে আঘাত পাওয়ায় ঘটনা নিয়ে সরব হন তৃণমূল নেত্রী।
ভবানীপুর নির্বাচনী কেন্দ্রের প্রত্যেক ভোটারের কাছে ভোটদানের আর্জি করেন নেত্রী। তিনি বলেন, ‘আপনাদের প্রত্যেকটা ভোট গুরুত্বপূর্ণ। ১টা ভোট না পেলেও আমার ক্ষতি হয়ে যাবে। অনেকে ভাবছেন, দিদি এমনিই জিতে যাবেন। আবার বৃষ্টির মধ্যে ভোট দিতে যাব কেন। কিন্তু, দোহাই ওই কাজটি করবেন না। আপনাদের প্রতিটা ভোট আমার দরকার। ভোট না দিলে আমাকে পাবেন না। আমি না জিতলে তৃণমূলের মুখ্যমন্ত্রী, অন্য কেউ হবে, আমি নয়।’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয় নিয়ে গোটা দল আত্মবিশ্বাসী হলেও কোনও লড়াই যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হালকা, দায়সারাভাবে নেন না তা ভবানীপুরের প্রচারের প্রথম দিন থেকেই স্পষ্ট। জনসংযোগে কোনওরকম ফাঁক দিতে নারাজ তৃণমূল সুপ্রিমো।
বিজেপিকে নিশানা মমতার। এদিন প্রচার মঞ্চ থেকে তিনি বলেন, ‘বাংলা একমাত্র জায়গা সবাই আসতে পারে। একুশের নির্বাচনের আগে বাংলায় ডেলিপ্যাসেঞ্জারি করত বিজেপি আর ওদিকে ত্রিপুরায় যেতে গেলে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। অভিষেক মিছিল করতে চেয়েছে বলে ওকে আটকাতে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে ওখানে। অর্থাৎ পুজোতেও জারি ১৪৪ ধারা। প্রয়োজনে ত্রিপুরায় খেলা হবে। আমরা খেলব, জিতব, বিজেপিকে দেশ থেকে তাড়াব।’