দেশে ডাক্তারি পড়তে গেলে দিতে হয় নিট পরীক্ষা৷ এই প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই মেলে ডাক্তারি পড়ার অধিকার। কিন্তু এবার সেই পরীক্ষার কার্যকারিতা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে। এমনকী সম্প্রতি প্রকাশিত একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, যে ভাবে নিট পরীক্ষা হচ্ছে, এমনকী যে ভাবে ভর্তি প্রক্রিয়া চলছে তা আগামীতেও হতে থাকলে শীঘ্রই দেশে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সঙ্কট চরমে উঠে।
প্রসঙ্গত, দেশ স্বাধীন হওয়ার সময় বা তার আগেও শুধু উচ্চবিত্তরাই ডাক্তারি পড়বে, এই ধারণাই চালু ছিল। সহজ কথায় যিনি পয়সা ঢালতে পারবেন, তিনিই সন্তানকে ডাক্তারি পড়াতে পারবেন বর্তমানে সেই ধারণার বিশেষ কোনও পরিবর্তন হচ্ছে বলে মনে হয় না। এমনকী একই কথা শোনা যাচ্ছে তামিলনাড়ু সরকারের নিট-সংক্রান্ত এক বিশেষ কমিটির গলাতেও। তাদের সাফ কথা, ডাক্তারি পরীক্ষার পড়ার ধরণের কারণেই গ্রামের ছেলেমেয়েরা আর আর্থিক দিক দিয়ে পিছিয়ে-পড়া পড়ুয়ারা পরীক্ষাটির আদবকায়দা রপ্ত করতে না পেরে মেধাবী শিরোপার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কোনও ভাবেই ঢুকতে পারছে না ডাক্তারি শিক্ষায়।
এই কমিটির প্রধান তামিলনাড়ুর বিচারপতি এ কে রাজন। তাঁদের স্পষ্ট দাবি খুব তাড়াতাড়ি নিট তুলে না দিলে দেশের চিকিৎসাব্যবস্থা গভীর খাদের দিকে এগিয়ে যাবে। এমনকী এই কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতেই ইতিমধ্যেই তামিলনাড়ু বিধানসভার নিট বিরোধী বিল পাশ করা হয়েছে। সেখানেও স্পষ্ট ভাষায় বলা হয়েছে স্বাধীনতার ৭৫ বছরে শিক্ষা ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বদলে চিকিৎসা শিক্ষাকে পিছনে ঠেলে দেওয়ারই কাজ সুকৌশলে করছে নিট।