মঙ্গলবার থেকেই শুরু হচ্ছে ভবানীপুর উপনির্বাচনের ‘মক পোল’। সোজা কথায়, ইভিএম পরীক্ষা। এই পর্ব থেকেই কড়া নজরদারি এবং সতর্কতা বজায় রাখার নির্দেশ দলের কর্মীদের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটের দায়িত্বে থাকা নেতারাও সেই মর্মেই প্রস্তুত। তাঁরা জানিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয় নিশ্চিত। তবু সতর্ক থাকতে হবে। বিজেপি যাতে কোনও অশান্তি তৈরি করতে না পারে, নজর রাখতে হবে সেদিকে। প্রসঙ্গত, আগামী ৩০শে সেপ্টেম্বর রাজ্যের তিন বিধানসভা কেন্দ্রের নির্বাচন। জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জে সাধারণ নির্বাচন থাকলেও নজর কিন্তু ভবানীপুরের উপনির্বাচনেই। কারণ, এখানে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার শুরু হচ্ছে মক পোল বা ইভিএম পরীক্ষা। চলবে ২৩শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। দলীয় সূত্রে খবর, প্রতিটি ইভিএম খুব ভালোভাবে পরীক্ষা ও সিল করার ব্যাপারে নেত্রীর নির্দেশ পৌঁছে গিয়েছে ভোটের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের কাছে। ওইদিন যে ইভিএমগুলি পরীক্ষা হবে, তা পৌঁছে যাবে বুথে বুথে। সেগুলিতেই ভোটগ্রহণ হবে। ফলে বাড়তি নজর তৃণমূল নেতৃত্বের। ভোট প্রচার শুরুর প্রথম দিন অহীন্দ্র মঞ্চে দাঁড়িয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলেন, “নন্দীগ্রামে একটা বুথে ৫০০ ভোটার, কিন্তু ভোট পড়েছে হাজার। ভিভিপ্যাট গোনা হয়নি। মেশিন ভেঙে দেওয়া হয়েছে। আমাকে হারাতে একটা প্ল্যানিং করা হয়েছিল।”
এই প্রসঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক দেবাশিস কুমার বলেছেন, “মক পোল সংক্রান্ত বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। সবসময় সচেতন থাকতে হবে। অন্য কোনও কৌশল যদি বিজেপি নেওয়ার চেষ্টা করে, ভবানীপুরে তা সফল হবে না।” প্রায় একই সুরে ভবানীপুরের ভোটে দায়িত্বপ্রাপ্ত অপর তৃণমূল নেতা কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “যতক্ষণ ইভিএম পরীক্ষা হবে, ততক্ষণই সজাগ দৃষ্টি রাখা হবে। মক পোলে বিজেপি যাতে কারসাজি করতে না পারে, দেখতে হবে সেটাও।” ভবানীপুরের প্রচারযুদ্ধ তুঙ্গে উঠেছে। রবিবার শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিমরা প্রচার সেরেছেন। মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেছেন, “মমতার জয়ের ব্যবধানে রেকর্ড তৈরি করাই লক্ষ্য।” একুশের নির্বাচনে বিজেপির ডবল ইঞ্জিনের দাবিকে বাংলায় লাইনচ্যুত করেছেন মমতা। তারপর থেকে তিনিই বিজেপি বিরোধী প্রধান মুখ। বিজেপির সব স্তরের নেতা-কর্মীই এখন তৃণমূলমুখী। আজ, সোমবারও ভবানীপুর নর্দার্ন পার্কের পাশে রায় স্ট্রিটে বিজেপির একাধিক জেলা নেতৃত্ব ও শাখা সংগঠনের কর্মীরা তৃণমূলে যোগ দেবেন। এই প্রেক্ষাপটেই ভবানীপুরের উপনির্বাচন থেকে দেশব্যাপী বার্তা তুলে ধরতে চায় তৃণমূল নেতৃত্ব।