অবশেষে সংশয়ে ইতি। তৃণমূলেই রয়েছেন তিনি, জানিয়ে দিয়েছিলেন বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীল মণ্ডল। শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন সুনীল। তবে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই মোহভঙ্গ হয় তাঁর। পদ্মশিবিরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন তিনি। দাবি করেছিলেন, তিনি তৃণমূলেই আছেন। যার জেরে সাংসদের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। সবুজ সংকেত মিলতেই রবিবার তৃণমূলের কার্যালয়ে দেখা গেল বর্ধমান পূর্বের সাংসদকে। বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের আগে গত বছর ডিসেম্বর মাসে ভাঙন শুরু হয়েছিল তৃণমূল শিবিরে। শুভেন্দু অধিকারী-সহ তাবড় তাবড় নেতা ঘাসফুল শিবির ছেড়ে হাতে তুলে নিয়েছিলেন বিজেপির পতাকা। সেই তালিকায় ছিলেন বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীল মণ্ডলও। মেদিনীপুরে অমিত শাহের সভায় প্রকাশ্যে বিজেপিতে যোগ দিতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তারপর কাটোয়ায় বিজেপি প্রার্থীর হয়ে প্রচারে গিয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতাকে খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগও উঠেছিল। ফেসবুকেও বিজেপির হয়ে পোস্টও করেছিলেন।
এরপর পদ্মশিবিরে যাওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই মোহভঙ্গ হয় তাঁর। সুনীল মণ্ডল বলেছিলেন, “তৃণমূল থেকে যারা বিজেপিতে এসেছে তারা মানিয়ে নিতে পারছে না। আসলে বিজেপি তাঁদের বিশ্বাস করতে পারছে না। তথাগত রায়, দিলীপ ঘোষরা এদের সম্পর্কে অন্যায় কথা বলছেন। দিলীপ ঘোষ বলেছেন ২০১৯ সালের পর যারা বিজেপিতে এসেছে তাদের আগে বিজেপি হতে হবে। এটা অন্যায় কথা।” কখনও আবার দাবি করেছিলেন, তিনি মনে প্রাণে তৃণমূলেই রয়েছেন। যদিও তার এই তৃণমূলে ফেরার চেষ্টাকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়নি দল। বরং সুনীল মণ্ডলের সাংসদ পদ খারিজের জন্য বারবার লোকসভার স্পিকারকে চিঠি দেয় তৃণমূল নেতৃত্ব। জল্পনার মাঝেই রবিবার অর্থাৎ বাবুল সুপ্রিয় তৃণমূলে ফেরার পরের দিনই তাঁর সঙ্গে এক গাড়িতে দেখা গেল বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীল মণ্ডলকে। বাবুল সু্প্রিয়র সঙ্গে ক্যামাক স্ট্রিটে আসেন সুনীল মণ্ডল। তৃণমূলের অনুষ্ঠানে দেখা গেল তাঁকে। এদিনও সুনীলবাবু দাবি করলেন, তৃণমূলেই আছেন তিনি।