শনিবারই গেরুয়াশিবিরের ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বিজেপি নেতা বাবুল সুপ্রিয়। আর ঠিক সেই দিনই খড়গপুরে দাঁড়িয়ে রেলের কাজ নিয়ে কৌশলী সুর শোনা গেল বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের গলায়। উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগে খড়গপুর রেলপ্রকল্পের কাজ নিয়ে রেলের ঢালাও প্রশংসা করেছিলেন দিলীপ ঘোষ। বিজেপি রাজ্য সভাপতির উল্টো পথে হেঁটে তবে কি অন্য বার্তা দিলেন তারকা বিধায়ক? শুরু হয়েছে জল্পনা। প্রসঙ্গত, খড়গপুর শহরে তিনটি ওভারব্রিজ তৈরি করছে রেল। পুজোর আগেই তা উদ্বোধন হবে বলেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সম্প্রতি তিনি খড়গপুর শহরে দাঁড়িয়ে রেলের কাজের ঢালাও প্রশংসা করেন। খড়গপুর শাখার ডিআরএমেরও প্রশংসা শোনা গিয়েছিল দিলীপ ঘোষের গলায়।
কিন্তু দিনকয়েক যেতে না যেতেই শনিবারই ঘটল যত বিপত্তি। ওইদিন খড়গপুরে রেলের কাজ সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন তারকা বিধায়ক হিরন্ময় চট্টোপাধ্যায় ওরফে হিরণ। রেলপ্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখার পর তিনি দাবি করেন, ভারতীয় রেলের সমালোচনা করবেন না। তারপরেও বলেন, “এখানে একটা বড় কাজ চলছে তা সত্ত্বেও কোনও অফিসার কিংবা ইঞ্জিনিয়ারের দেখা নেই। শ্রমিকদের মাথায় নেই হেলমেট। প্রতিদিন দুর্ঘটনা ঘটছে। স্থানীয় দোকানদারদের উচ্ছেদ করা হলেও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়নি। এভাবে উন্নয়নের কাজ হয়? আমি খড়গপুরের সকলের বিধায়ক। তাই সকলের পাশে থাকাই আমার কর্তব্য।” হিরণের এহেন মন্তব্য নিয়েই বিভিন্ন মহলে শুরু হয়েছে জোর আলোচনা। দিলীপ ঘোষ এবং হিরণের গলায় ভিন্ন সুর হওয়ায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বাবুলের ফুলবদলের দিনই হিরণের বিপরীত সুরের নেপথ্যে অন্য কারণ রয়েছে, সে প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক মহলে।