অব্যাহত বাকযুদ্ধ। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বনাম বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। আবারও বাদানুবাদে শামিল দু’জনেই। আরও একবার উপাচার্যকে ‘পাগল’ বলে কটাক্ষ করলেন বীরভূমের ডাকসাইটে তৃণমূল নেতা। দিনকয়েক আগে বিশ্বভারতীর সমস্ত ভবনের অধ্যক্ষ, বিভাগীয় প্রধান ও আধিকারিকদের নিয়ে ভারচুয়াল বৈঠক করেছিলেন উপাচার্য। সেই বৈঠকে নাম না করে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে ‘বাহুবলী’ বলে কটাক্ষ করেন উপাচার্য। বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর কথায়, “বাহুবলীর জন্য থানায় অভিযোগ জানাতে পারছে না বিশ্বভারতী। বাহুবলীর দাপটে নিষ্ক্রিয় বিশ্বভারতীর নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ভয়ে বিশ্বভারতীর নিজস্ব নিরাপত্তা কর্মীরা থানায় অভিযোগ জানাতে নিষেধ করছে কর্তৃপক্ষকে।”
এবার এ কথারই জবাব দিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর হুঁশিয়ারি, “সাহস থাকলে নাম করে বলুন বাহুবলী।” তৃণমূল নেতার কথায়, “খালি কলেজটা খুলতে দাও, ছাত্ররা দেখে নেবে।” উল্লেখ্য, ওইদিনের বৈঠকে বিশ্বভারতীর অধ্যাপকদের ‘চোর, ধান্দাবাজ’ বলেও কটাক্ষ করেছিলেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তারও পালটা দেন অনুব্রত মণ্ডল। উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীই বিশ্বভারতীর সমস্ত জিনিসপত্র চুরি করেছেন বলেই কটাক্ষ তাঁর।
সম্প্রতি সাসপেনশন ও বহিষ্কারের প্রতিবাদে আন্দোলনে শামিল হন পড়ুয়া এবং অধ্যাপকদের একাংশ। উপাচার্যের বাসভবন প্রতীচী ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। ঘটনার জল গড়ায় কলকাতা হাই কোর্টেও। পরে যদিও অবস্থান বিক্ষোভ প্রত্যাহার করেন আন্দোলনকারীরা। যদিও পরে হাই কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী বিশ্বভারতী চত্বর থেকে ৫০ মিটার দূরে ফের বিক্ষোভে শামিল হন পড়ুয়ারা। উপাচার্য পড়ুয়াদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত বাতিল না করলে অনশনও শুরু করেন সঙ্গীত ভবনের পড়ুয়ারা। পরে যদিও হাই কোর্টে ধাক্কা খান উপাচার্য। বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্ট।