ভাটপাড়ার পর টিটাগড়। ফের অর্জুন-গড়ে বিজেপিতে ভাঙন। ব্যারাকপুর বিধানসভা কেন্দ্রের হাজারদুয়েক বিজেপি কর্মীকে নিয়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন নিহত মণীশ শুক্লার ঘনিষ্ঠ দুই বিজেপি নেতা। যোগদান মঞ্চে ছিলেন ব্যারাকপুরের বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী ও তৃণমূলের দমদম-ব্যারাকপুর জেলা কমিটির সভাপতি পার্থ ভৌমিক। তৃণমূলের দাবি, বিজেপির সন্ত্রাস রুখতেই ঘাসফুল শিবিরে এসেছেন ওই নেতা-কর্মীরা। অন্যদিকে, নৈহাটিতে তৃণমূলের সভায় দলে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপির ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার এক সদস্য-সহ বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী।
উল্লেখ্য, গতমাসে ভাটুপাড়ায় বিজেপিতে ভাঙন ধরেছিল। তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদের ঘনিষ্ঠ বিজেপির তিন বিদায়ী কাউন্সিলর। তৃণমূলের জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের উপস্থিতিতে শাসক শিবিরে যোগ দেন ভাটপাড়া পুরসভার ৯, ১১ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপির তিন বিদায়ী কাউন্সিলর। গেরুয়া ছেড়ে তৃণমূলের পতাকা ধরেছিলেন সাংসদ অর্জুন সিংয়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর সোহন প্রসাদ চৌধুরী।
তাঁর সঙ্গে ছিলেন ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জ্যোতি সাউ ও তাঁর স্বামী অরুন সাউ। এছাড়াও ছিলেন ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর গীতা যাদব। প্রাক্তন কাউন্সিলর কানাই জয়সওয়াল ও যুব নেতা তরুণ সাউ। ওই দিনের যোগদান পর্বে হাজির ছিলেন বিধায়ক পার্থ ভৌমিক, সুবোধ অধিকারী, নারায়ণ গোস্বামী ও সোমনাথ শ্যাম। তাছাড়া উপস্থিত ছিলেন ভাটপাড়া শহর ও জগদ্দল শহর তৃণমূল সভাপতি যথাক্রমে দেবজ্যোতি ঘোষ ও জিতেন্দ্র সাউ, তৃণমূল নেতা গোপাল রাউত, অমিত সাউ প্রমুখ।